অনেকেই আমাকে উকিল সাত্তার বানানোর চেষ্টা করেছেন: মেয়র আরিফ

রাজনীতি

সিলেট ব্যুরো

ফাইল ছবি
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী এবারের সিটি নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

শনিবার বিকালে নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে জনসভায় এই ঘোষণা দেন তিনি।

এসময় আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশে বিএনপির রাজনীতি শুরু করেছি। আমার জীবন থাকতে এই দলের ক্ষতি হয় এমন কোন সিদ্ধান্ত নেব না। ’

নিজেকে খালেদা জিয়ার সৈনিক দাবি করে সিলেট সিটির টানা দুবারের এই মেয়র বলেন, আমি সব সময় সিলেটবাসীর সঙ্গে আছি।

অনেকেই আমাকে উকিল আব্দুস সাত্তার বানানোর চেষ্টা করেছেন অভিযোগ করে আরিফ আরও বলেন, আমি সেই সুযোগ কাউকে দিতে চাই না। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন করার পরিবেশ নেই। বিশেষ করে ইভিএম নিয়ে নগরের মানুষজন জানে না। এটা ভোট কারচুপির মহা আয়োজন।

সিলেটের মেয়র বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, আমার মা জননী ও আমার শ্রদ্ধেয় আলেম-উলামাদের পরার্মশে এই নির্বাচন বর্জন করলাম।

আরিফ বলেন, অতীতে আপনারা আমার পাশে ছিলেন। আমি কারাগারে থাকা অবস্থায় আপনারা আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমি সেইসব কথা ভুলতে পারিনা।’

আপনারা জানেন, আমি ছাত্রাবস্থায় থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি এবং আমৃত্যু থাকব, এটাই হবে আমার জীবনের শেষ রাজনৈতিক ঠিকানা ৷

তিনি বলেন, বারবার নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী আপষহীন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এই দাবি আজ গ্রামে গঞ্জে, শহরে-শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। এই দাবি আজ জনতার দাবিতে রূপ নিয়েছে। আমি জানি, অতীতে যেভাবে দুই দুইবার আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন এবারও আমার কাজের মূল্যায়ন করে আমাকে ভোট দিতে দলে দলে আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন। কিন্তু একবার ভেবে দেখুনতো, আপনাদের দেওয়া ভোট কী যথাযথভাবে কাউন্ট হবে?

নির্বাচন না করার কারণ হিসেবে আরিফ আরও বলেন, আপনারা দেবেন এক মার্কায়, কিন্তু ভোট চলে যাবে অন্য জায়গায়। অর্থাৎ আপনাদের দেওয়া ভোট, আপনাদের দেওয়া রায় অন্ধকারে হারিয়ে যাবে। বিএনপি আমার রক্তে রন্ধ্রে অস্থি মজ্জায়। আমি আপনাদের আরিফ, বিএনপির আরিফ হয়ে অন্ধকারের গহীনে ফেলতে পারি না দেশবাসীকে। স্পষ্টত এই নির্বাচন হবে প্রহসনের নির্বাচন। সুতরাং এই প্রহসনের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো প্রশ্নই উঠে না- তাই আমার দলীয় এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *