নদীর “বাবা দিবসের ‘উপহার…
আজ বৃষ্টির রাত। বাইরে ঠান্ডা বাতাস ও রয়েছে।খোলা দরজা দিয়ে সেই ঠান্ডা বাতাস ঢুকছে ঘরে।
অনেকদিন পরে খুব আরাম লাগছিল। যা গরম গেলো এ ক’দিন।
নদী ডাকছে। রাত বারোটা বেজে গেছে।খেতে হবে এখন।
খাবারের টেবিলে গিয়ে দেখি, নদী একটা উপহারের বাক্স নিয়ে বসে আছে। বললাম, – কি এটা?
– ভুলে গেছো? আজ বাবা দিবস। তোমার জন্য এই উপহার।
তারপরের কাহিনী খুব সাদামাটা। আমাদের অনেক গল্প হয়।আমি লেখালেখি করি। এই জন্য আজ সারাদিন ঘুরে লেখালেখি করার একটা বাক্স নদী কিনে এনেছে ।এই বাক্সে সব লেখার টুকিটাকি জিনিস রয়েছে।
উপহার টা সামান্য। অল্প টাকার। কিন্তু উপহার পাওয়ার আনন্দ টা টাকার হিসাবে তো করা যাবে না।এই টুকু একটা মেয়ে বাবা দিবসে মনে করে যে উপহারটি কিনে এনেছে। এই আনন্দে চোখে পানি চলে এসেছে আমার।
সব আনন্দ, সব ভালোবাসার তো প্রকাশ করার কোন ভাষা সব সময় থাকে না।কিংবা প্রকাশ করাও যায় না।
এই আনন্দ, ভালোবাসা টুকু কেবলমাত্র আমাদের বাপ-বেটির মধ্যে ই থাকুক। কিংবা এই দিন, আগামী বছরের বাবা দিবস,কিংবা এই পৃথিবীতে সব বাবারা যতকাল বেঁচে থাকবে।
ততকাল এই বাবা দিবসের এমন ভালোবাসাময়, আনন্দময় দিবস সব বাবাদের জীবনে যেন বার বার ফিরে ফিরে আসে।
তারিক মাহমুদ ।
১৮/০৬/২০২৩
বাসাবে,ঢাকা।
[তারিক মাহমুদ এর ফেসবুক ওয়াল থেকে]