পাল্টে গেছে পঞ্চগড়ের ৩৬ ছিটমহল

জাতীয়

সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক

দীর্ঘ ৬৮ বছরের বঞ্চনার অবসান হলো মাত্র আট বছরে। যেনো স্বপ্নের মতোই পাল্টে গেল পঞ্চগড়ের ৩৬টি ছিটমহল। কেবল নাগরিকত্বের স্বীকৃতিই নয়। তারা পেয়েছেন নাগরিক অধিকারও। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাস হয়েছে। ঘরে ঘরে এসেছে বিদ্যুৎ। যেখানে রিকশার যোগাযোগও ছিল না, সেই পথে এখন গাড়ি চলছে।

এভাবেই বদলে গেছে পঞ্চগড় সদরের গারাতি ছিটমহলবাসীর জীবন। সেই গারাতি ছিটমহলের নাম এখন রাজমহল।

একটি জাতীয় পরিচয়পত্র যে কতোটা দরকারি সেটি রোকেয়া বেগম ভালো জানেন। কারণ জীবনের ২৩ টি বছর তার কোন রাষ্ট্রীয় পরিচয় ছিল না। তিনি না ছিলেন ভারতীয়, না বাংলাদেশি। কিন্তু বর্তমান সরকার তাকে সেই পরিচয় দিয়েছে। দিয়েছে নাগরিকত্বের স্বীকৃতি। দুই সন্তান আর স্বামী নিয়ে রোকেয়া এখন একজন গর্বিত বাংলাদেশি নাগরিক।

রোকেয়া বেগম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়েছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েছেন। আমরা এখন মুখ ফুটে কথা বলতে পারি। যেখানে সেখানে যেতে পারি।

গ্রামের সবাই পাচ্ছেন নাগরিকত্বের সুবিধা। এতোদিন জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকায় জমি কেনা, শিশুদের টিকা দেয়া, বিয়ে রেজিষ্ট্রেশানসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের বঞ্চিত হতে হয়েছে।

সময়টা মাত্র আট বছর। একসময়ের ছিটমহল আজ পরিনত হয়েছে রাজমহলে। পাল্টে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। মিলছে বিদ্যুৎ। আছে স্কুল কলেজ মাদরাসা। স্বাস্থ্য সেবার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক। উন্নয়ন বঞ্চিত এলাকাটির এই বদলে যাওয়া; যেনো স্বপ্নময় এক অভিযাত্রা।

পঞ্চগড়ের ৩৬টি ছিটমহলের বাসিন্দারা এখন সুবিধা পাচ্ছেন ১০২ কিলোমিটার পাকা রাস্তার। ব্রীজ কালভার্ট, মসজিদ, মন্দির, বাজার, কবরস্থান সবই হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পে নিজেদের একটা ঠিকানা পেয়েছে ৩৪৯টি ভূমিহীন পরিবার। ২০১৫ সালের পয়লা আগষ্ট ছিটমহলের দেশহীন মানুষদের যে দেশের ঠিকানা দিয়েছে বর্তমান সরকার; সেটি কোনদিনই ভোলার নয়; বলছেন এলাকাসী।

(সৌজন্যে: ‘৭১ টিভি)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *