সুবর্ণবাঙলা প্রতিবেদন
ঝালকাঠিতে একটি যাত্রী বোঝাই বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে থাকা পুকুরে পড়ে শিশুসহ অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার সকালে সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নামপরিচয় জানা যায়নি। নিহতদের মধ্যে তিন শিশু, আতজন নারী ও ছয়জন পুরুষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাশার-স্মৃতি পরিবহনের বাসটি বরিশালের ভাণ্ডারিয়া থেকে ঝালকাঠির উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। বাসটি ছত্রকান্দা এলাকায় একটি অটোরিকশাকে পাশ কাটাতে গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি উল্টে সড়কের পাশের পুকুরে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। বাসের ভেতরে আটকে পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা চালায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। এরপর ক্রেন দিয়ে গাড়িটি পানি থেকে তোলে পুলিশ। বাসটিতে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি।
ঝালকাঠি জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আফরুজুল হক টুটুল জানান, ফারায় সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। আহত অবস্থায় ৩০ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।
ঝালকাঠি জেলার সিভিল সার্জন ডা. জহিরুল ইসলাম জানান, ফারায় সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান শুরুর পর ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও চারজনের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের ঝলকাঠি জেলা হাসপাতাল ও রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনাস্থল থেকে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সরকার জানান, উদ্ধারকাজ চলমান রয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর তিন ঘণ্টা খুলনা-ঝালকাঠি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকার পর তা স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
(সূত্র: ‘৭১ টিভি)