সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক
সুনামগঞ্জের ছাতকে বরশি-সূতাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় পক্ষের শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
শনিবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের চেচান বাজার সংলগ্ন সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ চলাকালে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আড়াই ঘন্টা সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এতে সড়কের উভয়পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত ২৩জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, শনিবার বিকালে স্থানীয় চেচান বাজারে বরশি-সূতা কিনতে যায় চেচান তালুকদার পাড়া গ্রামের আমিরুল ইসলামের চেচান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র ইয়াছিন আহমদ (৮)। বাজারের দোকানি চেচান বাউর গ্রামের শামছুদ্দিনের ছেলে রকিবুল (১৮) এসময় মোবাইলে পাবজি গেম খেলায় মত্তছিল।
মোবাইলে গেম খেলে খেলে সে ছুঁড়ে ছুঁড়ে ক্রেতা শিশু ইয়াছিনের কাছে বরশি ও সূতা বিক্রি করে। পণ্য ছুড়ে দেওয়ার বিষয় নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যার পর শিশু ইয়াছিনের পিতা আমিরুল ইসলাম দোকানিকে জিজ্ঞেস করতে গেলে তাকে বেধড়ক মারধর পিটিয়ে আহত করে রকিবুলসহ তার সহযোগীরা।
এঘটনার জেরে রাত ৮টার দিকে চেচানবাজার সংলগ্ন সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে আমিরুল ইসলাম ও শামছুদ্দিন পক্ষদ্বয়ের মধ্যে মুখামুখি সংঘর্ষ শুরু হয়। দেশীয় অস্ত্র, ইট-পাটকেল সংঘর্ষে ব্যবহার করা হয়।
এখবর পেয়ে ছাতক থানার ওসি, জয়কলস হাইওয়ে থানা ওসি, জাউয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও সুনামগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় আড়াই ঘন্টা পর রাত সাড়ে ১০টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
পরে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় পুলিশসহ উভয় পক্ষের শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়।
এ বিষয়ে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মো. মাইনুল জাকিরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। রাত ২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে