সুবর্ণবাঙলা নিজস্ব প্রতিবেদক
শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে মঙ্গলবার থেকে কোনোভাবেই খোলা ভোজ্যতেল বিক্রি করা যাবে না। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করবে তারা। তবে ব্যবসায়ীরা এখনও বলছেন, নিম্ন আয়ের মানুষের কথা ভেবে হলেও আরেকটু সময় দেয়া উচিত।
শিল্প মন্ত্রণালয় বলছে, খোলা অবস্থায় তেলে সহজে ভেজাল মেশানো সম্ভব। আর কোন পর্যায়ে ভেজাল মেশানো হয়েছে তা ধরাও কঠিন, তাই এমন সিদ্ধান্ত।
দেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে দেশে উৎপাদিত সরিষা, তিল ও সূর্যমুখী থেকে ভোজ্যতেলের যোগান আসে মাত্র তিন লাখ টন। অর্থাৎ মোট চাহিদার মাত্র ১২ ভাগ। বাকি ৮৮ শতাংশের যোগান দিতে সয়াবিন ও পাম অয়েল আমদানি করতে হয়। এর মধ্যে সয়াবিন তেলের ৬০ শতাংশ এবং পাম অয়েলের ৯৭ শতাংশই খোলা অবস্থায় বিক্রি হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকেই তারা নিয়মিত বাজারে তদারকি করবেন।
তবে বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা বলছেন, হুট করেই খোলা তেল বিক্রি বন্ধ হলে একদিকে বাজার যেমন অস্থির হবে একইসাথে অনেকে বেকার হয়ে পড়বেন।
তিনি জানান, খোলা তেলের ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন প্রায় ১৩ লাখ লোক। এর মধ্যে তিন লাখ ব্যবসায়ী এবং দশ লাখ কর্মচারী।
আরও পড়ুন: বিএনপির গুগলিতে আওয়ামী লীগ বোল্ড: ফখরুল
আগেও দুইবার খোলা তেল বিক্রি বন্ধের চেষ্টা করেছিল শিল্প মন্ত্রণালয়। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরে প্রথম এমন উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে প্রস্তুতি না থাকায় তখন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি। পরে চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে খোলা অবস্থায় ভোজ্যতেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তাও কার্যকর হয়নি।
এবার তৃতীয়বারের মতো তেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।