অনলাইন ডেস্ক
থাইল্যান্ড সীমান্তে মিয়ানমারের নাগরিকরা। ছবি: ইন্টারনেট থেকে
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তীব্র লড়াইয়ে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে হাজার হাজার মানুষ। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।
এই পদ্ধতি রাতারাতি রক্তনালী পরিষ্কার করে! স্ট্রোকের ভয় নেই
কোন রাসায়নিক ছাড়াই কিভাবে রক্তনালী পরিষ্কার করবেন! সহজ উপায়ৃ
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। ফলে ব্যাপক বিক্ষোভ এবং সশস্ত্র বিদ্রোহ হতে থাকে দেশটিতে।
থাইল্যান্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, থাইল্যান্ডের তাক প্রদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলীয় কারেন প্রদেশের মায়াওয়াদ্দি শহরের আশপাশের এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে।
তাক প্রদেশের কর্মকর্তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ১০টি এলাকা জুড়ে অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে এখন পর্যন্ত পালিয়ে এসেছে প্রায় চার হাজার মানুষ।
থাইল্যান্ডের ইংরেজি সংবাদপত্র খাওসোদ এবং বিবিসি বার্মিজ জানিয়েছে, জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির সশস্ত্র যোদ্ধারা একটি সীমান্তরক্ষী চৌকিতে হামলা চালানোর পর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দাতব্যকর্মী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, অনেক মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে এসেছে এবং অনেকে এখনো সীমান্ত পার হওয়ার জন্য মিয়ানমারের পাশে অপেক্ষা করছে। এসব মানুষের কাছে পর্যাপ্ত পানীয় ও খাবার নেই।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার মতে, অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৩ হাজার ২১২ জনকে হত্যা করেছে মিয়ানমারের সেনারা, ১৭ হাজারের বেশি আছেন কারাগারে।