জাপান প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে ওএসএতে যুক্ত করেছে বাংলাদেশকে

আন্তর্জাতিক

সুবর্ণবাঙলা প্রতিবেদন

ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেছেন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিবিড় করতে বাংলাদেশকে সরকারি নিরাপত্তা সহায়তা (ওএসএ) প্রকল্পে যুক্ত করেছে জাপান। নতুন এই কর্মসূচিতে প্রথম বছর যে চার দেশকে জাপান যুক্ত করেছে, বাংলাদেশ তাদের অন্যতম।

শনিবার রাজধানীর জাপান দূতাবাসে জাপান ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্যান-এশিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পারি) আয়োজিত ‘জাপান-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাস্তবায়ন : কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গত এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফর করেন। ওই সফরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের পর দুই দেশের সম্পর্ক কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত হয়। শীর্ষ বৈঠকের পর প্রচারিত যৌথ ঘোষণায় বাংলাদেশকে ওএসএতে যুক্ত করার কথা উল্লেখ করা হয়।

প্যান-এশিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পারি)’র উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, সশস্ত্র বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করতে বাংলাদেশকে ওএসএতে যুক্ত করা হয়েছে। ওই রূপরেখার আওতায় সহযোগিতা বাড়াতে বিশেষ করে সমরাস্ত্র বিনিময় ও প্রযুক্তি বিনিময়ে সাম্প্রতিক মাসগুলোয় ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, জাপানের সহায়তা বিশেষ করে এর চমৎকার অবকাঠামো প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের জনগণের অনেক চ্যালেঞ্জের সমাধান করেছে। তিনি বলেন, আমরা এগুলোকে (জাপানি সহায়তা) দেশ ও জনগণের অনেক সমস্যার সমাধান হিসাবে দেখছি।

শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশ ও জাপান অবশ্যই সম্মিলিতভাবে কাজ করবে এবং উভয় দেশ ও জনগণের জন্য একটি পারস্পরিক কল্যাণকর ভবিষ্যৎ অর্জনের লক্ষ্যে একসঙ্গে পথ চলবে। প্রতিমন্ত্রী মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বিবেচনা করে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাপানের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে আমরা আশা করি যে জাপান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহায়তার প্রচেষ্টা জোরদার করবে।

রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, জাপান ও বাংলাদেশের সম্পর্কের বৈশিষ্ট্য হলো এ অঞ্চলে এবং এর বাইরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে অভিন্ন অঙ্গীকার। তিনি বলেন, আগামী দিনে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ ও সার্বিক সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।

অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন।

জাপানে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত জামিল মজিদ ও আশরাফ-উদ-দৌলা, এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারপারসন ড. লাইলুফার ইয়াসমিন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর শাখার পরিচালক সায়েম আহমেদ, জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র প্রতিনিধি ইজি ইয়ামাদা, ঢাকায় জাপানিজ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (জেসিআইএডি) সভাপতি তেতুরো কানো এবং জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (জেবিসিসিআই) মহাসচিব মো. আনোয়ার শহীদ প্যানেলিস্ট হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।

পারি’র সভাপতি ইউজি আন্দো, সহ-সভাপতি তারেক রাফি ভূঁইয়া জুন ও নির্বাহী পরিচালক ড. আবদুল্লাহ-আল-মামুন অধিবেশন পরিচালনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *