অনলাইন ডেস্ক
অ্যাম্বুলেন্স
সাপে কাটা একজন শ্রমিককে সুচিকিৎসার জন্য ১ হাজার ৩০৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নিয়ে যাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। এই পথের দূরত্ব বাংলাদেশের দক্ষিণ প্রান্ত টেকনাফ থেকে সবচেয়ে উত্তরের তেঁতুলিয়া থেকেও ৪০০ কিলোমিটার বেশি।
এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতে। সাপে কাটা ওই রোগীর নাম সুনীল কুমার (২০)। তার বাড়ি উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুর জেলার কৃষ্ণপুর থানার রারি গ্রামে। তিনি শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন গুজরাট রাজ্যের রাজকোটে। সেখানেই তাকে গত ১৫ আগস্ট সাপে দংশন করেছিল।
রাজকোটে সাপে কাটার পর সুনীল কুমারকে প্রথমে সেখানকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে তার পরিবার। পরিবারের সদস্যরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য উত্তরপ্রদেশের কানপুরের লালা লাজপত রায় (এলএলআর) হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন—যার দূরত্ব সেখান থেকে ১ হাজার ৩০৭ কিলোমিটার।
দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দিতে সুনীলের দরিদ্র পরিবার একটি অ্যাডভান্সড লাইফ সাপোর্ট (এএলএস) সুবিধাসম্পন্ন অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে। এ জন্য তাদের অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া বাবদ পরিশোধ করতে হয় ৫১ হাজার রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ৬৭ হাজারের বেশি।
এলএলআর হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক বি পি প্রিয়দর্শী বলেন, সুনীলকে ১৭ আগস্ট রাতে তাদের হাসপাতালে আনা হয়। তার অবস্থা ছিল ভয়াবহ খারাপ। তাৎক্ষণিক তাকে ভেন্টিলেটরে নিতে হয়।
বি পি প্রিয়দর্শী আরও বলেন, অ্যান্টি–ভেনমের পাশাপাশি অন্যান্য ওষুধের মাধ্যমে সুনীলের চিকিৎসা চলে। ধীরে ধীরে তিনি সেরে উঠতে থাকেন। এরপর ভেন্টিলেটর সাপোর্ট খুলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) শয্যায় নেওয়া হয়। একপর্যায়ে সুনীল আশঙ্কামুক্ত হন।