সাড়ে ৬ ঘণ্টা ইডি অফিসে নুসরাত, বেরিয়ে একবাক্যে জবাব দিয়ে সোজা গাড়িতে

বিনোদন

বিনোদন ডেস্ক

সংসদ সদস্য ও অভিনেত্রী নুসরাতের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট প্রতারণার অভিযোগ এনেছিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা। ইডির কাছেই সরাসরি অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। এর ভিত্তিতেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল সংসদ সদস্য ও অভিনেত্রী নুসরাতকে।

এ ঘটনার পর অভিনেত্রী নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিলেন, তার বিশ্বাস ইডি তাকে ডেকে পাঠাবে না। কারণ তিনি নির্দোষ কিন্তু নুসরাতের সেই ধারণা বাস্তবে মেলেনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ডেকে পাঠায় তাকে।

মঙ্গলবার ছিল সেই দিন। নুসরাতকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সকাল ১১টায়। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তিনি পৌঁছে যান সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে।

তিনি সিজিওতে পৌঁছান ঠিক ১০টা বেজে ৪৮ মিনিটে। তার পরণে ছিল গোলাপি কামিজ, গাঢ় গেরুয়া রঙের ওড়না। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা পরে খোলা চুলে নুসরাত গাড়ি থেকে নেমেই সোজা ঢুকে যান সিজিওর ভিতরে। সেখান থেকে বেরোলেন ঠিক বিকাল ৫টা বেজে ১৫ মিনিটে।

নায়িকা-সংসদ সদস্য সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে আসতেই তাকে ঘিরে ধরেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। চলে একের পর এক প্রশ্ন। জানতে চান- টানা সাড়ে ছয় ঘণ্টা ইডি দফতরে কী প্রশ্ন করা হলো নুসরাতকে? ইডি কী জানতে চেয়েছে? তাকে ডেকে পাঠিয়েছে কিনা।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাকে ঘিরে ভিড় জমালেও একবাক্যে জবাব দিয়ে গাড়িতে উঠে বেরিয়ে গেলেন নুসরাত। তিনি শুধু বলেন, ‘ইডির দিক থেকে যা যা চাওয়ার, আমার দিক থেকে যা যা দেওয়ার, সব দেওয়া হয়ে গিয়েছে।’

ব্যাস এটুকুই জবাব, এরপরই গাড়িতে উঠে বসেন বসিরহাটের সংসদ সদস্য এবং সিজিও কমপ্লেক্স ছেড়ে বেরিয়ে যান।

২০১৪-১৫ সালে ৪০০-র বেশি প্রবীণ নাগরিকের কাছ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা করে নিয়েছিল এ সংস্থাটি। বদলে তাদের এক হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তারা সেই ফ্ল্যাট পাননি। টাকাও ফেরত পাননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *