আল্লাহর প্রতি ফিলিস্তিনি শিশুর কৃতজ্ঞতা

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইসরাইলি হামলার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে এক ফিলিস্তিনি শিশু। গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর হাঁটু গেড়ে আল্লাহর উদ্দেশে সিজদা করে শিশুটি।

গত শনিবার (১৪ অক্টোবর) ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিতে সিজদারত ওই শিশুটির ছবি প্রকাশ করা হয়। তবে শিশুটির বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চলতে থাকা যুদ্ধে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার লোক নিহত হয়েছে। এদিকে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের ক্রমাগত বিমান হামলার মুখে বিশৃঙ্খলা, হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতার মুখে ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ও সহায়-সম্বল ছেড়ে পালিয়ে গেছে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে।

গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরাইলে ১৪০০ বেশি বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার পর ফিলিস্তিনি ইসলামপন্থি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরাইল। হামাসের হামলার পর থেকে গাজা শহরে বিরতিহীন বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। আর এতে ছিটমহলটির ২৬৭০ জন লোক নিহত হয় যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

এদিকে গাজা ছেড়ে যাওয়ার সময় ফিলিস্তিনিরা যতটুকু সম্ভব তাদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে ব্যাগে ভরে বা স্যুটকেসে বোঝাই করে। কেউ শহর ছাড়ছেন তিন চাকার মোটরসাইকেলে, ভাঙাচোরা গাড়িতে, মালামাল পরিবহণের যানবাহনে অথবা গাধায় টানা গাড়িতে করেও। এটা প্রতিদিনের একটি সাধারণ দৃশ্য।

ইসরাইলের বোমা হামলা থেকে বাঁচতে এবং গাজার দক্ষিণ অংশে সরে যাওয়ার জন্য দখলদার বাহিনীর নির্দেশনার পর মানুষ আশ্রয় নিয়েছে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে, এমনকি খোলা রাস্তাতেও।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ১১ লাখ ফিলিস্তিনি গাজার উত্তর অংশ থেকে দক্ষিণ অংশে চলে গেছে। তবে দক্ষিণ অংশে এখনও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। খান ইউনিস ও রাফায় চালানো হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে চিকিৎসকদের বসতবাড়িও।

এদিকে গাজায় হাসপাতালগুলোতে নিহত ও আহতদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা রোববার জানিয়েছেন, ৯ হাজার ৬০০ আহত লোক চিকিৎসা নিচ্ছে সেখানে।

বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম অকেজো হয়ে পড়েছে। এছাড়া হাসপাতালের ইনকিউবেটর থেকে শুরু করে পানি শোধন প্লান্ট ও খাবার সংরক্ষণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *