সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার চারদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অবশেষে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সাতটা থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। প্রথম ধাপে ইসরায়েলের ১৩ নারী ও শিশু জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর আলজাজিরার।
চুক্তির ফলে উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় যুদ্ধ বন্ধ থাকবে বলে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন।
রাফাহ ক্রসিং থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গাজায় সাহায্য পাঠানোর আশা করছে কাতার। গাজা থেকে মুক্তির জন্য জিম্মিদের একটি প্রাথমিক তালিকা পেয়েছে ইসরায়েল। গাজায় বন্দিদের প্রথম ব্যাচের ১৩ নারী ও শিশু শুক্রবার স্থানীয় সময় আনুমানিক ৪টায় মুক্তি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সময় ফিলিস্তিনি বন্দীদেরও মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি দোহায় সাংবাদিকদের বলেন, চুক্তির অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
হামাসের বন্দুকধারীরা সীমান্তের বেড়া পেরিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে নিহত এবং ২৪০জন জিম্মিকে আটক করার পর ইসরায়েল ও গাজার মধ্যকার যুদ্ধ শুরু হয়।
তারপর থেকে হামাস শাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ১৪ হাজারের বেশি গাজাবাসী নিহত হয়েছে, তাদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু।
ইসরায়েল বলেছে, হামাস যদি প্রতিদিন ১০জন করে জিম্মিকে মুক্তি দেয় তবে যুদ্ধবিরতি প্রাথমিকভাবে চার দিনের বেশি স্থায়ী হতে পারে। ফিলিস্তিনি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, মুক্তির দ্বিতীয় ধাপ নভেম্বরের শেষের দিকে শুরু হবে। তখন ১০০জনের মতো জিম্মি মুক্তি পেতে পারে।
উভয় পক্ষই বলেছে, যুদ্ধবিরতি শেষে তারা আবার যুদ্ধে ফিরে যাবে।