সুবর্ণবাঙলা প্রতিবেদন
আসন ভাগাভাগির বিষয়ে জাতীয় পার্টি এখনো কোনো তালিকা পাঠায়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সত্যিকারের বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির নিজেদের প্রমাণ করার মোক্ষম সময় এখন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, চোরাগোপ্তা হামলার জন্য বিএনপি নেতাকর্মী পাচ্ছে না। তাই ভাড়া করা টোকাই দিয়ে তারা হামলা করছে। তাদেরকে (টোকাইদের) দিয়ে বোমা হামলা, পেট্রোল বোমা মারছে।
বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনসমর্থনের অভাবে বিএনপির আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়েছে। সেই কারণে তারা সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস, হিংসা, চোরাগোপ্তা হামলা, নাশকতা করছে। স্বাভাবিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে তারা রাজনীতিকে সন্ত্রাসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন গাড়ি পোড়াচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৮টি নিবন্ধিত দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বিএনপির সঙ্গে এখন ৩২ বা ৫৪ দল নেই। অনেকে তাদের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। বিএনপি না হলে নির্বাচন অশুদ্ধ হয়ে যাবে, একতরফা হয়ে যাবে কেন? বিএনপির যে ভুয়া আন্দোলন, এ আন্দোলনের কারণে অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছে। আজ তাদের ঝটিকা মিছিল করতে হয় অন্ধকারে। কুয়াশার মধ্যে হঠাৎ করে গুহা থেকে বেরিয়ে শুরু করে দেয় মিছিল। কিছুক্ষণ পর আর নাই। পুলিশ দেখলে চলে যায়। তাদের বুকে সাহস নাই।
তারেক জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমি তারেক রহমানকে বলব- সাহস থাকলে, রাজনীতি করতে চাইলে, সৎ সাহস থাকলে মাঠে আসুন। আমরা একটা রাজনৈতিক দল, আপনারা আমাদের প্রতিপক্ষ। শত্রু কখনো ভাবিনি, ষড়যন্ত্র করিনি। খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে যাইনি, জিয়াউর রহমানকে হত্যা করতে যাইনি। আমরা হত্যার রাজনীতি করি না। ষড়যন্ত্রের রাজনীতি আমরা বিশ্বাস করি না। সৎ সাহস থাকলে কেন আসেন না? লন্ডনে বসে বাংলাদেশে আন্দোলন করবেন, এ ভুলের রাজনীতির কারণে আপনারা কিছুদিন পর দলের নেতাকর্মীদের হারাবেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।