বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। ছবি: বিবিসি বাংলা
অসহযোগ আন্দোলন বা সরকারকে অসহযোগিতা করার আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল ১০০ বছরের কিছু আগে। ব্রিটিশ শাসনামলে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, যিনি মহাত্মা গান্ধী নামে পরিচিত, মুসলিমদের খেলাফত আন্দোলনের সাথে একাত্ম হয়ে ঘোষণা করেছিলেন অসহযোগ আন্দোলনের। ১৯২০ সাল থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত চলেছিল সে আন্দোলন।
এমন আন্দোলনের পেছনে ছিল বেশ কিছু ঘটনাপ্রবাহ যা ভারতীয়দের মধ্যে ব্রিটিশবিরোধী ক্ষোভ বাড়িয়ে তুলেছিল।
প্রথম অসহযোগের প্রেক্ষাপট
অসহযোগ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল ব্রিটিশদের প্রণয়ন করা রোলাট আইন থেকে যেটি ভারতীয়দের কাছে কালো আইন নামে পরিচিত। এমনিতেই নানা কারণে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। এর মাঝেই ১৯১৯ সালের ১০ই মার্চ পাস করা হয়েছিল রাউলাট আইন।
রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তিকে বিনা বিচারে কারারুদ্ধ বা বন্দি করার জন্য সরকারকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল সে আইনে। এর অর্থ ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে কেউ চক্রান্ত করছে এমন সন্দেহ হলেই তাকে বিনা বিচারে দুই বছর পর্যন্ত জেলে বন্দি করে রাখা যাবে। যদি কারও কাছে ব্রিটিশবিরোধী কোনো পত্রিকা পাওয়া যায় তাহলেও সে সন্দেহের তালিকায় পড়ার সুযোগ ছিল।
অসহযোগ আন্দোলনের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল বিদেশি পণ্য বর্জন। স্বদেশি বস্ত্র পরিধান করে মিছিলের চিত্র।
ততদিনে মোহনদাস গান্ধী বিভিন্ন ধরনের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। এই আইনের বিরুদ্ধে ৭ই এপ্রিল ‘সত্যাগ্রহী’ নামে একটি লেখা লেখেন যেখানে রোলাট আইনের বিরোধিতা করার উপায় বর্ণনা করা হয়েছিল। তবে তখনো সমস্যা সেভাবে শুরু হয়নি।
অমৃতসরে রোলাট আইনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ডাক দেন দুজন নেতা যারা হিন্দু-মুসলিমদের ঐক্যের প্রতীক ছিলেন। ড. সাইফুদ্দিন কিচলু এবং ড. সত্যপল, এই দুই নেতাকে পাঞ্জাবের গভর্নর স্যার মাইকেল ও ডায়ারের নির্দেশে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুই নেতার মুক্তির দাবিতে ১৯১৯ সালের ১০ই এপ্রিল ডেপুটি কমিশনারের বাড়ির দিকে মার্চ করে যায় বিক্ষুব্ধ প্রতিবাদীদের একটি অংশ। তাদের উপরে গুলি চালানো হয়, হতাহতের ঘটনাও ঘটে সেখানে।
তবে আরও বড় ঘটনাটা ঘটে এর কয়েকদিন পর। বৈশাখী উদযাপনের জন্য ১৩ই এপ্রিল একটি জমায়েত হওয়ার কথা ছিল। তবে ব্রিটিশরা সেটিকে রাজনৈতিক সমাবেশ হিসেবে দেখেছিল বলে ভারতের পুরনো নথিপত্রে উল্লেখ রয়েছে।
সিডনি রোলাটের আইন ভারতে সৃষ্টি করেছিল ব্যাপক প্রতিক্রিয়া
‘বেআইনি জমায়েত’ না করার বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডায়ারের নির্দেশ থাকলেও জালিয়ানওয়ালাবাগে মানুষ এক হয়েছিল। সেখানে দুটি বিষয়ে আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল, ১০ই এপ্রিলের গুলি চালানোর নিন্দা জানানো ও তাদের নেতাদের মুক্তির অনুরোধ।
তবে বিষয়টি ভালোভাবে নেননি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডায়ার। সেনাসহ জালিয়ানওয়ালাবাগে হাজির হয়ে কোনো সতর্কবাণী ছাড়াই গুলি চালানোর নির্দেশ দেন তিনি।
মানুষ বের হওয়ার পথের দিকে ছুটতে থাকলে সরাসরি সেদিকে গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়। অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট গুলি চলে। ১ হাজার ৬৫০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়। জেনারেল ডায়ার ও ডেপুটি কমিশনারের দেয়া তথ্যে আনুমানিক ২৯১ জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়। যদিও বিভিন্ন প্রতিবেদনে সে সংখ্যা পাঁচ শতাধিক পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে।
এই গণহত্যার দুই দিন পর লাহোর, অমৃতসর, গুজরাতসহ পাঁচটি অঞ্চলে সামরিক আইন জারি করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল কেউ বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে অংশ নিলেই যেন ভাইসরয় তাকে সরাসরি কোর্টমার্শালে বিচার করতে পারেন।
এমন হতাহতের ঘটনা ভারতে ছড়িয়ে পড়লে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার নাইটহুড উপাধি বর্জন করেন।
মি. গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলন এর পরের বছর শুরু হলেও সেটির মূল প্রেক্ষাপট ছিল এই ঘটনাবলি।
খিলাফত আন্দোলনের সাথে সম্মিলিত অসহযোগ
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের পরাজয় এবং ভাঙনের প্রেক্ষাপটে ‘ইসলামের পবিত্র স্থানসমূহের ওপর খলিফার অভিভাবকত্ব নিয়ে ভারতে আশঙ্কা দেখা দেয়,’ তথ্য বাংলাপিডিয়ার। সেখানে বলা হয় গ্রেট ব্রিটেন ও ইউরোপীয় শক্তিগুলির হাত থেকে তুর্কি খিলাফত ও সাম্রাজ্যকে রক্ষার জন্য ১৯১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হয় খেলাফত আন্দোলনের।
এ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করছিলেন হায়দ্রাবাদের মাওলানা আজাদ ন্যাশনাল উর্দু ইউনিভার্সিটির ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ইকরামুল হক। নিজ অঞ্চলে তুরস্কের সুলতান কর্তৃত্ব হারান এবং মুসলিমদের জন্য এটি চিন্তার বিষয় ছিল কারণ মুসলিমরা তাকে খলিফা বা নেতার দৃষ্টিতে দেখতেন, বলছিলেন ড. হক।
ব্রিটিশ এবং তাদের মিত্র দেশগুলো যেন তাদের সিদ্ধান্ত বাতিল করে সুলতানের কর্তৃত্ব ফিরিয়ে দেয় সেই দাবিতে মুসলিম লীগ ও ভারতীয় ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির শীর্ষ মুসলিম নেতারা একত্রিত হয়ে খিলাফত কমিটি গঠন করে, যদিও সেটা মানেনি ব্রিটিশরা, বলছিলেন তিনি।
১৯২০ সালের মাঝামাঝির দিকে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীও সমর্থন জানিয়ে তাদের সাথে যোগ দেন। মি. গান্ধীর মূল ইস্যু রোলাট আইন থেকে শুরু করে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড হলেও এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে মি. গান্ধী তার অহিংস আন্দোলনে যেমন মুসলিমদের একটা বড় অংশের সমর্থন পেয়ে যান, আবার ততদিনে পরিচিত হয়ে ওঠা কংগ্রেসের মি. গান্ধীর বদৌলতে মুসলিমরাও হিন্দুদের সমর্থন লাভ করেন।
“খিলাফত আন্দোলনের প্রতি গান্ধীর সমর্থনের বিনিময়ে খিলাফত নেতৃবৃন্দ গান্ধীর অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন” (বাংলাপিডিয়া)। খিলাফতের ইস্যু ভারতের স্বরাজ ও স্বদেশি ইস্যু থেকে আলাদা হলেও ব্রিটিশদের বিপক্ষে হিন্দু-মুসলিম একত্র হওয়ার দিকটি আন্দোলনকে আরো শক্তিশালী করে তোলে।
বাংলাদেশের লেখক ও গবেষক মুনতাসীর মামুনের লেখা প্রবন্ধ ‘অহিংস ও অসহযোগ আন্দোলন মহাত্মা ও বঙ্গবন্ধু’তেও উঠে আসে এই ঘটনাপ্রবাহ।
সে প্রবন্ধে বলা হচ্ছে, ১৯২০ সালের ১লা ও ২রা জুন খিলাফত কমিটি এক সম্মেলন আহবান করে যেখানে অসহযোগের প্রস্তাব গৃহীত হয়। অগাস্ট মাসের ১ তারিখ গান্ধীর নেতৃত্বে খিলাফত কমিটি হরতাল ঘোষণা করে। সেসময়ই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলনের।
সেপ্টেম্বর মাসে (১৯২০) কলকাতায় কংগ্রেস কমিটির অধিবেশনে আন্দোলনের কর্মসূচি আরো বিস্তৃত হয়। মুনতাসীর মামুনের লেখায় সে অসহযোগের যে ভিত্তির জায়গাগুলো তুলে ধরা হয় সেগুলো ছিল এমন:
১. সরকার প্রদত্ত সব উপাধি, সামাজিক পদ ও স্থানীয় সরকারের পদ থেকে পদত্যাগ
২. সরকারি দরবার বা সরকারি সম্মান আয়োজন বর্জন
৩. সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্জন ও ‘জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ স্থাপন
৪. আদালত বর্জন ও সালিশি আদালত প্রতিষ্ঠা
৫. ইরাকে সামরিক-বেসামরিক পদে চাকরি অস্বীকার
৬. বিধান পরিষদের নির্বাচন বর্জন, যারা বর্জন করবে না তাদের ভোট না দেয়া এবং
৭. বিদেশি দ্রব্য বর্জন বা বয়কট।
কংগ্রেসের অসহযোগের প্রস্তাব ১৯২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সর্বভারতে বেশ কিছুটা সাফল্য অর্জন করতে শুরু করে। বাংলাপিডিয়ায় অসহযোগ আন্দোলন নিয়ে লেখায় উল্লেখ করা হয়েছে, ৯ হাজার ছাত্র-ছাত্রী স্কুল-কলেজ পরিত্যাগ করে দেশব্যাপী গড়ে ওঠা আট শতাধিক জাতীয় প্রতিষ্ঠানে যোগ দেয়। অসহযোগে সক্রিয় হয়ে ওঠে পাঞ্জাব, মুম্বাই, উত্তর প্রদেশ, বিহার, ওডিশা ও আসাম অঞ্চল। তবে সবচেয়ে সফল হিসেবে দেখা হয় বিদেশি বস্ত্র বর্জনকে। “বিদেশ থেকে যে সকল বস্ত্র আমদানি করা হয় তার মূল্য ১৯২০-২১ সালের ১০২ কোটি টাকা থেকে নেমে ১৯২১-২২ সালে ৫৭ কোটিতে দাঁড়ায়” এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাপিডিয়া।
১৯৮২ সালের গান্ধী চলচ্চিত্রে গণহত্যার চিত্র তুলে ধরা হয়
এ সময়ের আরও একটি ঘটনা উল্লেখযোগ্য। ১৯২১ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রিন্স অফ ওয়েলস এডওয়ার্ড ভারত সফর করেন। তিনি আশা করছিলেন তার সফর আনুগত্যের ভাব সৃষ্টিতে সহায়তা করবে এবং গান্ধীর আন্দোলন থিতু হবে। কিন্তু তাকে বোম্বেতে (বর্তমান মুম্বাই) স্বাগত জানানো হয় দেশব্যাপী হরতালের মধ্য দিয়ে।
যেখানেই তিনি যাচ্ছিলেন রাস্তাঘাট জনশূন্য আর দরজা-জানালা বন্ধ রেখে বিরূপ সংবর্ধনা জানানো হয়। অন্যদিকে আইন অমান্য করার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সরকারও আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করছিল।
তবে অসহযোগ আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটে ১৯২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখের একটি ঘটনার মধ্য দিয়ে। ক্ষুব্ধ জনতার একটি দল গোরখাপুরের চৌরি-চৌরা পুলিশ স্টেশনে আগুন দেয় যেখানে ২৩ জন পুলিশ সদস্য মারা যায়।
তৎকালীন ব্রিটিশ প্রিন্স অফ ওয়েলস এডওয়ার্ড
অহিংস আন্দোলনের নেতা গান্ধী এই সহিংসতার ঘটনা মেনে নিতে পারেননি। ১২ই ফেব্রুয়ারি অসহযোগের সমাপ্তি টানেন তিনি। এতে আন্দোলনকারীরা তার ওপর ক্ষুব্ধ হন। ১৬ই ফেব্রুয়ারি মি. গান্ধী একটি লেখায় জানান অসহযোগ প্রত্যাহার না করা হলে অন্যান্য জায়গায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তো।
একদিকে তিনি উস্কানির জন্য পুলিশকে দায়ী করেন, অন্যদিকে ঘটনার সাথে জড়িতদের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বলেন।
অসহযোগ সফল না ব্যর্থ
সেসময়কার অসহযোগ আদৌ কতটা সফল ছিল তা নিয়ে বলছিলেন ড. ইকরামুল হক।
‘রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে সেটি খুব বেশি কার্যকর বলা যায় না, কারণ এতে করে আসলে কিছু হয়নি। গান্ধীজি বা ভারতীয় জাতীয়তাবাদী নেতাদের কোনো অভিযোগ আমলে নেয়া হয়নি’ বলছিলেন তিনি। ড. হক উদাহরণ দেন জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড, রোলাট আইন, খিলাফত আন্দোলন তেমন কোনো দিকেই আসলে বিশেষ কিছু অর্জন করা যায়নি।
হায়দ্রাবাদে মাওলানা আজাদ ন্যাশনাল উর্দু ইউনিভার্সিটির ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ইকরামুল হক।
তবে তার মতে এর প্রভাবটা ছিল মূলত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জনগণের অংশগ্রহণ। মি. গান্ধী ‘ভারতীয়দের মধ্যে একটি জাতীয়তাবাদী চেতনা জাগিয়ে তুলেছিলেন। এটি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদের সংগ্রাম আর শহুরে মধ্যবিত্তের বা শিক্ষিত ভারতীয়দের আন্দোলন ছিল না শুধু , একটা গণআন্দোলনে রূপ নিয়েছিল। কৃষক, শ্রমিক, নারী, দরিদ্র সবার মধ্যে জাতীয়তাবাদের চেতনা দিন দিন আরও শক্তিশালী হয়’ বলছিলেন হক। এই বিষয়টি উঠে এসেছে অন্যান্য লেখাতেও।
তার দৃষ্টিতে সবচেয়ে বড় সফলতা ছিল স্বরাজ বা স্বাধীনতার আন্দোলনে সব পর্যায়ের, সব সম্প্রদায়ের মানুষকে একত্র করা। বিশেষত অসহযোগ আন্দোলনের সাথে খিলাফত আন্দোলনকে একত্রিত করা যার মধ্য দিয়ে এক হয়েছিল হিন্দু-মুসলিম। হক উদাহরণ দেন, তৎকালীন আর্য সমাজের কৃষক নেতা স্বোয়ামী সেহজানন্দকে মুসলিমরা দিল্লির জামে-মসজিদে বক্তৃতা দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান, অপরদিকে পাঞ্জাবে মুসলিমদের নেতা সাইফুদ্দিন কিচলুকে শিখরা অমৃতসরে আমন্ত্রণ জানায় এবং তাকে স্বর্ণ মন্দিরের চাবি দেয়া হয় যেটা শিখদের জন্য পবিত্রতম স্থান।
ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেনের মতে, চৌরি-চৌরার ঘটনায় মি. গান্ধীর আন্দোলন প্রত্যাহার ‘প্রমাণ করে তখনও রাজনীতিতে আদর্শ ছিল।’ বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতার প্রেক্ষাপটে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলন থেকে অনেক কিছু শেখার আছে বলে মনে করেন তিনি।