গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনার নতুন দফা অনুমোদন করেছেন নেতানিয়াহু

আন্তর্জাতিক

সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক


ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

গাজা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে নতুন আলোচনার অনুমোদন দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানুষের কাছে জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইসরায়েলকে নির্দেশ দেওয়ার পরদিন শুক্রবার এই অনুমোদন দিলেন তিনি। খবর এএফপির।

এই সপ্তাহে গাজায় অবিলম্বে ‍যুদ্ধবিরতির দাবিতে একটি প্রস্তাব পাস করেছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তা সত্ত্বেও শুক্রবার গাজার হাসপাতালসহ সর্বত্র যুদ্ধ অব্যাহত ছিল।

সংঘর্ষ আঞ্চলিক পর্যায়েও ছড়িয়েছে। কারণ ইসরায়েল বলেছিল, তারা লেবাননে হিজবুল্লাহ রকেট কমান্ডারকে হত্যা করেছে এবং সিরিয়ায় হামলায় বেশ কয়েকজন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। সিরিয়ায় হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির বিষয়ে নতুন আলোচনা দোহা এবং কায়রোতে অনুষ্ঠিত হবে। এতে আগামী দিনে আলোচনায় এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশিকাসহ সকল বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) তার আদেশে বলেছে, ‘গাজার ফিলিস্তিনিরা এখন কেবল দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে নেই বরং গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু হচ্ছে।’

রায়ের বিষয়ে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের উদ্দেশে জাতিসংঘের সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি এক্স-এ লিখেছেন, রায় থেকে এটাই স্পষ্ট যে গাজা উপত্যকায় বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতি মানবসৃষ্ট এবং তা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।

আদালত জানুয়ারিতে রায় দিয়েছিল, ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজায় ‘জরুরি’ মানবিক সহায়তা প্রদান করতে হবে এবং গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করতে হবে। কিন্তু ইসরায়েল দক্ষিণ আফ্রিকার আনা মামলাটি প্রত্যাখ্যান করেছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী শুক্রবার বলেছে, তারা ১২তম দিনের জন্য অঞ্চলের বৃহত্তম আল-শিফা হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে রাতারাতি কয়েক ডজন লোক নিহত হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরের একটি বাড়িতেই ১২ জন নিহত হয়েছেন। এখানে ইসরায়েলি স্থল অভিযানের আগে নিয়মিত বোমা হামলা করা হয়েছে।

বিমান হামলার পর ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধার করতে পুরুষরা মোবাইল ফোনের আলোতে কাজ করেছে।

আইসিজে ইসরায়েলকে ‘বিলম্ব না করে’ জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় মৌলিক পরিষেবা ও মানবিক সহায়তার সরবরাহ নিশ্চিত করতে সমস্ত প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *