সুবর্ণবাঙলা ডেস্ক
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ছয় ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের পর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন দেশটির জনগণ। ইসরায়েলজুড়ে বিক্ষোভে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দ্রুত চুক্তি করে জিম্মিদের মুক্ত করতে হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ইসরায়েলি পতাকা হাতে দেশটির তেল আবিব, জেরুজালেম এবং অন্যান্য শহরে নেমে এসেছে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সরকারকে গত ৭ অক্টোবরের হামলায় জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তির জন্য চুক্তি করতে যথেষ্ট কাজ করছে না।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স স্থানীয় মিডিয়ার বরাতে জানিয়েছে, জেরুজালেমে রাস্তা অবরোধ করে এবং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ করছে আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভে অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, নিহত জিম্মিদের ছবিসহ বিক্ষোভকারীরা তেল আবিবের প্রধান মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছেন।
ইসরায়েলি টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, পুলিশ বেরিকেট ভেঙে তেল আবিবের একটি প্রধান মহাসড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। পরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। পাশাপাশি ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে স্থানীয় মিডিয়া।
এর আগে হিস্তাদ্রুত লেবার ফেডারেশনের প্রধান আর্নন বার-ডেভিড গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তিতে ব্যর্থতার দায় সরকারের ওপর চাপিয়ে এর প্রতিবাদে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেন। তিনি বলেন, ‘যেকোনো কিছুর চেয়ে শান্তিচুক্তিই অধিক গুরুত্বপূর্ণ।’ এ ছাড়া ইসরায়েলি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদ এবং বিরোধী দলীয় নেতা বেনি গানজও বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, শনিবার (৩১ আগস্ট) রাফা এলাকায় থাকা হামাসের টানেল থেকে ৬ জন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ছয় জিম্মি হলেন- কার্মেল গাট, ইডেন ইয়েরুসালমি, হার্স গল্ডবার্গ পোলেন, অ্যালেক্সজান্ডার লোবানভ, আলমং সারুসি, এবং মাস্টার সার্জেন্ট ওরিও দানিও।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র দানিয়েল হাগারি বলেন, এসব জিম্মিদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে হামাস। জিম্মিদের মধ্যে হার্স গল্ডবার্গ পোলেন একজন মার্কিন নাগরিক। এদিকে ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধের সময় এখনই। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেছেন, হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করতে হবে এবং তাদের কোনোভাবেই গাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে দেয়া যাবে না।