রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের চূড়ান্ত তদন্তে যা জানা গেল

আন্তর্জাতিক

কোনো শত্রুর হামলা নয়, বৈরি আবহাওয়ার কারণেই বিধ্বস্ত হয় ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ওই দুর্ঘটনার চূড়ান্ত প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী।
সুবর্ণবাঙলা ডেস্ক

ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ছবি: সংগৃহীত

গেল ১৯ মে রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ফেরার পথে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে প্রাণ হারান ইরানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। একই দুর্ঘটনায় মারা যান সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমিরাব্দুল্লাহিয়ানসহ বাকি আরোহীরা।

এই ঘটনায় ইরানজুড়ে কয়েকদিন ধরে চলে রাষ্ট্রীয় শোক। প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে রাস্তায় লাখ লাখ মানুষের ঢল নেমেছিল। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিজ শহর মাশহাদে দাফন করা হয় ইব্রাহিম রাইসিকে।

শুরু থেকেই রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের কারণ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসতে শুরু করে নানা প্রতিক্রিয়া। এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রকেও দায়ী করেন দেশটির অনেক নেতা।

কারণ জানতে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের একটি দল তদন্ত শুরু করে। পর পর প্রতিবেদনও দেয় দলটি। প্রাথমিক রিপোর্টে দুর্ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এর সঙ্গে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড জড়িত নেই বলে জানায় দলটি।

গেল মাসে দেশটির বার্তাসংস্থা ফার্স জানায়, দুর্ঘটনার প্রধান কারণ ছিল ঘন কুয়াশা। তাদের দাবি, হেলিকপ্টারটিতে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী বহন করা হচ্ছিল। আর এক্ষেত্রে উপেক্ষা করা হয়েছিল নিরাপত্তা প্রটোকল।

যদিও, বার্তা সংস্থাটির এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল দেশটির সেনাবাহিনী। সেসময় কোনো প্রটোকল ভাঙা হয়নি বলে পাল্টা দাবি করা হয়।

রোববার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আইআরআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ওই ঘটনার চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণেই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, হঠাৎ করে ঘন কুয়াশার কারণে পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয় হেলিকপ্টারটি। এরপরই আগুন ধরে যায়। মারা যান ইব্রাহিম রাইসি।

২০২১ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উত্তরসূরী হিসেবে তাকেই বিবেচনা করা হতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *