অনলাইন ডেস্ক
পর্যটকসহ নিখোঁজ হওয়া ডুবোযানে এখন ৩০ ঘণ্টারও কম অক্সিজেন বাকি আছে বলে ধারণা করছে কতৃপক্ষ। গত রবিবার কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূলে টাইটানিক ধ্বংসস্তূপ দেখতে গিয়ে ডুবোযানটি নিখোঁজ হয়। সাগরে ডুব দেওয়ার ডুবে প্রায় ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে ছোট এই ডুবোযানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ট্যুর ফার্ম ‘ওশানগেট’ জানিয়েছে, সেখানে থাকা পাঁচজনকে উদ্ধারের জন্য সব বিকল্প পথ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
ডুবোযানটি ‘ওশানগেট’ কম্পানির ‘টাইটান সাবমার্সিবল’ বলে জানা গেছে। ডুবোযানটিতে রয়েছেন, ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ এবং তার ছেলে সুলেমান, ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ও অভিযাত্রী হামিশ হার্ডিং। এ ছাড়া রয়েছেন পল হেনরি নারজিওলেট, যিনি একজন প্রাক্তন ফরাসি নৌবাহিনীর ডুবুরি
মার্কিন কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, উদ্ধার অভিযানটি ‘খুব জটিল।’ সরকারি সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার নৌবাহিনী এবং বাণিজ্যিক সংস্থাগুলো উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দুটি বিমান, একটি সাবমেরিন এবং একটি জাহাজ অনুসন্ধানের কাজ করছে। কিন্তু অনুসন্ধান চলানো এলাকাটি বেশ দূরে হওয়ায় উদ্ধার অভিযান কঠিন করে তুলেছে।
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ সেন্ট জনস নিউফাউন্ডল্যান্ডের প্রায় ৪৩৫ মাইল (৭০০ কিমি) দক্ষিণে অবস্থিত। যদিও উদ্ধার অভিযান বোস্টন, ম্যাসাচুসেটস থেকে চালানো হচ্ছে।
এটি একটি ট্রাক আকারের ডুবোযান, যাতে পাঁচজন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারে এবং সাধারণত চার দিনের জন্য জরুরি অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা থাকে।
এদিকে সোমবার বিকেলে মার্কিন কোস্ট গার্ডের রিয়ার অ্যাডএম জন মাগার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘আমরা ধারণা করছি আমাদের হাতে ৭০ (অক্সিজেন) ঘণ্টা এবং সর্বমোট ৯৬ ঘণ্টা সময় আছে।’তিনি আরো বলেছিলেন, উদ্ধারকারী দলগুলো খুব গুরুত্ব দিয়েই বিষয়টি দেখছে এবং সাবমেরিনে থাকা মানুষগুলোকে নিরাপদে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।
সাবমার্সিবলটির (ডুবোযান) ওজন ২৩ হাজার পাউন্ড (১০,৪৩২ কেজি) এবং ওয়েবসাইট অনুসারে, ১৩ হাজার ১০০ ফুট পর্যন্ত গভীরতায় পৌঁছতে পারে এবং পাঁচজন ক্রুর জন্য ৯৬ ঘণ্টা লাইফ সাপোর্ট দিতে পারে। তিন হাজার ৮০০ মিটার (১২,৫০০ ফুট) গভীরে গিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ দেখতে গুনতে হয় দুই লাখ ৫০ হাজার ডলার।
সূত্র : বিবিসি