জাবি প্রতিনিধি
জুলাই বিপ্লবের সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ও হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা এবং বিচার নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের’ ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
পরে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম নাইমের সঞ্চালনায় ‘গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের’ আহবায়ক এবং তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের (সিএলসি) শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের চার মাস পরেও আজকে আমাদের জুলাই বিপ্লবে হামলাকারীদের বিচার নিশ্চিতের জন্য দাঁড়াতে হচ্ছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা না করলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। আগে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হবে, তাদের বিচার হবে; তারপর একাডেমিক কার্যক্রম চলবে। আমরা কোনো খুনি শিক্ষকের সঙ্গে লিয়াজোঁ করতে চাই না, হামলাকারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে ক্লাস করতে চাই না।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্রশিবির জাবি শাখার নেতারা অংশ নেন।
এ সময় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির জাবি শাখার সভাপতি হারুনুর রশিদ রাফি বলেন, আমাদের ওপর যারা হামলা করেছে তাদের বিচারের জন্য আজকে আমাদের কেন রাজপথে দাঁড়াতে হবে? প্রশাসনের উচিত ছিল নিজে থেকে বিচার নিশ্চিত করা। এই প্রশাসনের কাজ কী আসলে? প্রশাসন যদি সন্ত্রাসীদের বিচার না করে দেশ চালাতে চায় তাহলে কখনোই তারা করতে পারবে না।
তিনি বলেন, গত ১৫ জুলাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর যে ন্যক্কারজনক হামলা চালানো হয়, সেখানে অসংখ্য শিক্ষার্থী শহিদ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। অথচ হামলাকারী সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা তাদের পরীক্ষা শেষ করে সনদ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত ছিল ক্ষমতায় আসার পরেই তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার নিশ্চিত করা।