অনলাইন ডেস্ক
গণসংহতি আন্দোলন
‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র–জনতার’ ওপর হামলার প্রতিবাদে ‘সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার’ ব্যানারে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। আজ বৃহস্পতিবার গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসানের এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশ কেন আবারও মিছিলের ওপর হামলা চালাল, তার জবাব দিতে হবে। গণ–অভ্যুত্থানের পর অন্তর্র্বতী সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে নাগরিক বা শিক্ষার্থী বা জনতা—যে–ই হোক না কেন, সবার যে সংগঠিত হওয়ার অধিকার রয়েছে, তা নির্বিঘ্নে পালন করতে দেওয়া।
গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার রাষ্ট্র গঠনের প্রাক্কালে সংস্কার বাস্তবায়নের পূর্বে অতিসত্বর রাষ্ট্রীয় বাহিনীর এরূপ যেকোনো ধরনের নিপীড়ন ও হামলা বন্ধ করুন। দোষীদের চিহ্নিত করে অতিসত্বর বিচারের আওতায় আনুন।’
বিবৃতিতে বলা হয়, গণ–অভ্যুত্থান–পরবর্তী এই দেশকে জনগণের বাংলাদেশ পরিণত করতে হলে পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আমলানির্ভর নিপীড়ক রাষ্ট্রের বিপরীতে সবাই মিলে কার্যকর গণতান্ত্রিক ও মানবিক দেশ গড়তে হবে। স্বৈরতন্ত্রের সব ভিত্তি উচ্ছেদ করার মধ্য দিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মাধ্যমেই তা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র–জনতার’ ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ ‘সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার’ ব্যানারে একদল বিক্ষোভকারী সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষা ভবনের সামনে তাঁদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
এর আগে গতকাল বুধবার পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী শব্দসংবলিত গ্রাফিতি রাখা ও না রাখা নিয়ে রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনের সামনে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার’ মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’ অভিযোগ করে, ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ নামের একটি সংগঠন তাদের ওপর হামলা করেছে। স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।