নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) সংবাদদাতা
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে মিয়ানমারের ঘেঁষা দীর্ঘ ৬২ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে এখন শুনশান নীরবতা বিরাজ করছে। সেখানে নেই কোনো গোলাবারুদের শব্দ। সীমান্তের ওপার থেকে গত ৫ দিন ধরে বিকট শব্দ ভেসে আসেনি। সীমান্তে বসবাসরতদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও কাটেনি আতঙ্ক।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি চলে আসা মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং আরকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষে হতাহত হয়েছেন অসংখ্য। বিচ্ছিন্নতাবাদী আরকান আর্মি ৬২ কিলোমিটার সীমান্তে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীর যত অবজারভেশন পোস্ট ছিল তার সবগুলো দখলে নিয়েছে। অবজারভেশন পোস্টগুলো পুনরুদ্ধারে পাল্টা হামলা বাড়তেও পারে।
এর আগে সোমবার (১১ মার্চ) মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে আহত (গুলিবিদ্ধ) ইউপি সদস্য সাবের আহমদের কোমরের পেছন থেকে ১টি বুলেট বের করা হয়েছে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘুমধুমের ইউপি সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টো বলেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সীমান্ত পরিস্থিতি খুব ভালো। কোনো ধরনের শব্দ কানে আসেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জনপ্রতিনিধি জানান, নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সীমান্তবাহিনীর ১৭৭ জন সদস্যকে রাখা হয়েছে। সেদিক দিয়ে সাধারণের চলাচল সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ১৭৭ সীমান্তরক্ষীকে কবে নাগাদ হস্তান্তর করা হবে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তাদের ডাটা এন্ট্রি কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে বিজিবির একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি ভালো। জনসাধারণ নিরাপদে রয়েছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন জানান, নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত এলাকা পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ১৭৭ সীমান্তরক্ষীকে কবে নাগাদ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের ফেরত পাঠানোর কাজ চলমান রয়েছে।