কুবি প্রতিনিধি
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন দুপুরে মিরহাম রেজা নামের এক আবাসিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলাকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডা হয় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী নেওয়াজ শরিফ ফাহিমের। তিনি আইন অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
মিরহাম রেজা বলেন, ডাইনিংয়ে কিছু টাকা বাকি থাকায় ডাইনিং বয়কে আমি ডাকছিলাম। এ সময় উনি (ফাহিম) জানতে চান, আমি কেন উচ্চস্বরে ডাকছি। তিনি আমাকে বলেন, তুই আমারে চিনস? তুই এমনে কথা বলস কেন? এ সময় আমি উনাকে চিনি না বললে তিনি বলেন, আর একটা কথা বললে তোর হাত পা কেটে ফেলব। উনাকে আমি চিনতাম না, উনাকে সালাম না দেওয়ায় এমন আচরণ করেন আমার সঙ্গে।
সেলিম আহমেদ বলেন, বিভাগের জুনিয়রকে ধমকানো হয়েছে জানতে পেরে আমি তার (ফাহিম) কাছে বিষয়টি কী হয়েছে জানতে চাই। কিন্তু উনি আমাকে কথাবার্তার এক পর্যায়ে পাঞ্জাবির কলার ধরে এবং এক পর্যায়ে হল গেটে মারধর করেন।
এ বিষয়ে ফাহিম বলেন, হলের সিনিয়র হওয়ায় আমি তাকে (মীরহাম) সতর্ক করার জন্য প্রভোস্টের রুমের সামনে উচ্চস্বরে কথা বলতে নিষেধ করি। কিন্তু সে আমার সঙ্গে উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করার পাশাপাশি তার বন্ধুদের নিয়ে আসে আমাকে মারার জন্য। কিন্তু সেলিম আমাকে একই বিষয়ে জিজ্ঞেস করে আমার ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। যেটা নিয়ে সে একপর্যায়ে আমার দিকে তেড়ে আসলে আমি তাকে আঘাত করি। পরবর্তীতে সেও আমাকে পাল্টা আঘাত করে।
হল ছাড়ার নির্দেশনার বিষয়ে ফাহিম বলেন, জুনিয়রকে মারধর করাটা আমার ঠিক হয়নি। তাই স্যাররা হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু এটা যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় তবে আমার আক্ষেপ থাকবে।
হলের প্রভোস্ট মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, আমরা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফাহিমকে (প্রথমে মারধরকারী) এ মাসের শেষে হল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। পরবর্তীতে হল প্রশাসন সবাইকে নিয়ে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।