রাজশাহীতে মদ পানে চারজনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ৪

আইন আদালত মফস্বল

সুবর্ণবাঙলা ডিজিটাল ডেস্ক


মোহনপুর থানা। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর মোহনপুরে মদ পানে চার ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও চারজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- মোহনপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মো. টোটন (৪০), একই গ্রামের মোন্তাজ আলী (৪০), করিশা গ্রামের মো. জুয়েল (৩৫) এবং নওগাঁর মান্দা উপজেলার গণেশপুর গ্রামের বাসিন্দা আতোয়ার হোসেন (৩৫)।

রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরা হলেন- মোহনপুর উপজেলার দুর্গাপুর কাচারিপাড়ার আকবর আলী (৪৩), দুর্গাপুর শাহপাড়া গ্রামের মো. ফিরোজ (২৬), দুর্গাপুর মোন্নাপাড়া গ্রামের মো. পিন্টু (২৫) ও দুর্গাপুর খাঁ পাড়া গ্রামের মো. মোনায়েম (২৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত ও অসুস্থদের মধ্যে সাত জনই মঙ্গলবার একসঙ্গে মদ পান করেন। পরে বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে টোটন ও জুয়েল মদ বিক্রেতা। মঙ্গলবার রাতে মদ পানের পর বাড়িতেই তাদের দুই জনের মৃত্যু হয়। তাদের পরিবার তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করে ফেলে। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মোন্তাজ। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়। মোন্তাজের মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে মোহনপুর থানার ওসি আব্দুল হান্নান বলেন, তারা ৭ একসঙ্গে মদ পান করেছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। টোটন ও জুয়েল অ্যালকোহল বিক্রি করতেন। অন্যদের সঙ্গে তারাও পান করেছিলেন। এই দু’জন বাড়িতেই মারা যান। পুলিশ খবর পাওয়ার আগেই দুই জনের মরদেহ স্বজনেরা দাফন করেন। বৃহস্পতিবার মোন্তাজের মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর রামেক মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। পরে মরদেহ স্বজনদের হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে নিহতদের মধ্যে আতোয়ার নওগাঁর মান্দা উপজেলার বাসিন্দা। তিনিও বাকিদের সঙ্গে মদ পান করেছিলেন কি-না তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। তবে বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার ফারুক হোসেন জানান, মদ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়া আতোয়ারকে বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৮ মিনিটে রামেক হাসপাতালে আনা হয়। ভর্তির ৮ মিনিট পর তিনি মারা যান। পরে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *