সুবর্ণবাঙলা প্রতিবেদন
নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ীই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ভোটের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, আইনি পদক্ষেপ কি হবে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
আসছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক মহলের আলোচনায় এবার যুক্ত হয়েছে আরপিও বা গনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর সংশোধনী।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯১ (এ) ধারায় বলা আছে, অনিয়ম বা বিরাজমান বিভিন্ন অপকর্মের কারণে নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে তারা আইনানুগ নির্বাচন করতে সক্ষম হবে না, তাহলে নির্বাচনের যে কোনো পর্যায়ে ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা রাখে ইসি। আর সংশোধনীতে বলা হয়েছে ভোটের দিন যেসব ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম বা অভিযোগ থাকবে, কমিশন শুধু সেসব কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল স্থগিত বা বাতিল করে প্রয়োজনে নতুন নির্বাচন করতে পারবে। কিন্তু পুরো আসন বা নির্বাচনী এলাকার ভোট বন্ধ করতে পারবে না।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আর কী কী পরিবর্তন আনা যায় আমরা প্রস্তাব করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। আইনটি বিল আকারে পাস হয়েছিল গতকাল। রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিয়েছেন। গেজেটের কপি আমরা সংগ্রহ করেছি।
কমিশনের ক্ষমতা খর্ব হয়েছে কিনা এই সংশোধনীর ফলে তার জবাব দেন সিইসি।
তিনি বলেন, ভোট বন্ধে ইসির কোনো ক্ষমতা ‘রহিত হয়নি’, বরং আরপিও সংশোধন নিয়ে জনগণকে ‘বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, ইসিকে হেয় করা হচ্ছে’।
সোমবার আরপিও সংশোধন গেজেট প্রকাশের পর সার্বিক বিষয় নিয়ে নির্বাচন ভবনে নিজেদের অস্থান তুলে ধরেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি কমিশনকে নিয়ে অহেতুক মন্তব্য না করার অনুরোধ জানান।
নির্বাচন ভবনে সিইসির কক্ষের সামনে এ ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা ও মো. আনিছুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
একাত্তর/আরএ