ধর্ষণের পর দুই নারীকে নগ্ন করে রাস্তায় ঘোরানো হয়!

আন্তর্জাতিক

সুবর্ণবাঙলা প্রতিবেদন

ছবি : সংগৃহীত

ভারতের মণিপুর রাজ্যে ধর্ষণের পর দুই নারীকে নগ্ন করে রাস্তায় ঘোরানোর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া এতে বাধা দেওয়ায় ধর্ষণের শিকার একজনের কিশোর ভাইকে হত্যাও করে উত্তেজিত জনতা। মে মাসের ৪ তারিখে সংঘটিত সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে মণিপুরজুড়ে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয়।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৩ মে মণিপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিগোষ্ঠী মেইতেইকে তফসিলি আদিবাসী ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিক্ষোভের সূত্র ধরে রাজ্যটিতে কুকি সম্প্রদায়ের সঙ্গে জাতিগত সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে মেইতেইরা। জাতিগত সংঘাত শুরুর মাত্র এক দিন পর এই ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ধর্ষণের শিকার ওই দুই নারী মূলত তাদের পরিবারের সঙ্গে পালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, একদল লোক খবর পায়, তাদের গোষ্ঠীর দুই নারী ধর্ষিত হয়েছে এবং তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি যাচাই না করেই ওই দলটি পালিয়ে যাওয়া পরিবারের পিছু ধাওয়া করে। ওই দলটির পাঁচ সদস্যের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং তিনজন নারী। দুজন পুরুষের মধ্যে একজনের বয়স ৫৬ বছর, তার ছেলের বয়স ১৯ বছর। তার মেয়ের বয়স ২১ বছর। এছাড়া অন্য দুই নারীর বয়স যথাক্রমে ৪২ ও ৫২ বছর।

পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে বলা হয়েছে, দলটি যখন বলের দিকে যাচ্ছিল তখন তাদের সঙ্গে নঙপোক সেকমাই পুলিশ স্টেশনের কয়েক সদস্যের দেখা হয়। সেকমাই পুলিশ স্টেশন থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে পাঁচজনের ওই দলটিকে দেখতে পায় প্রায় ৮০০ থেকে হাজারজনের একদল জনতা। পরে তারা পুলিশের কাছ থেকে ওই পাঁচজনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সে সময় জনতার হাত থেকে বোনকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে ১৯ বছর বয়সী ভাইকে হত্যা করা হয়।

পুলিশ ভুক্তভোগীদের আত্মীয়দের অভিযোগের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, তিন নারীর মধ্য থেকে একজনকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে।

এদিকে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার এক দিন পর ভিডিও থেকে চিহ্নিত করে বৃহস্পতিবার একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে থাকা অন্যদের পরিচয়ও জানার চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *