সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনল ২৬টি বিরোধী দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’। একই বিষয়ে আলাদা করে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছে কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি বা বিআরএস। আজ, বুধবার ‘ইন্ডিয়া’র হয়ে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। বিআরএসের হয়ে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন সাংসদ নামা নাগেশ্বর রাও। কিন্তু অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আজ সংসদের নিম্নকক্ষে আলোচনা হবে না। নিয়ম মোতাবেক ৫০ জন সাংসদের সমর্থন-সহ সেই অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখবেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তারপরই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য নির্দিষ্ট দিন এবং সময় বরাদ্দ করবেন তিনি। তবে এদিন তেলঙ্গানার শাসকদল বিআরএস ২৬টি বিরোধী দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’য় অংশ নেয়নি।
মণিপুর ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে অধিবেশন শুরুর দিন থেকেই বিক্ষোভ শুরু করেছিল বিরোধীরা। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারই বিরোধী জোট ইন্ডিয়া সিদ্ধান্ত নেয় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও মোদি সরকারের কোনও সঙ্কট তৈরি হবে না। অনাস্থা পরীক্ষায় পাশ করতে মোদি সরকারের একটুও ঘাম ঝরবে না তা ভালোভাবেই জানেন বিরোধী নেতারাও। উলটে তাঁদেরই হারের মুখে পড়তে হবে। কারণ, খাতায় কলমে ৩৩২ জন সাংসদের সমর্থন রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষেই। তবে বিরোধী দলগুলির বক্তব্য, মণিপুর নিয়ে সরকারের ‘নীরবতা’ ভাঙতেই তাঁরা সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। ফলে পুরোপুরি কৌশলগত কারণে এই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের মত। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব সম্পর্কে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির উপর মানুষের আস্থা রয়েছে। বিরোধীরা আগেও অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। কিন্তু মানুষ ওদের উচিত শিক্ষা দিয়েছে।