সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক
ছবি : সংগৃহীত
তাইওয়ানকে নতুন করে ৩৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শুক্রবার (২৮ জুলাই) নতুন এ সামরিক সহায়তার ঘোষণা দেয় জো বাইডেন প্রশাসন।
আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
এবারের সামরিক সহায়তার মধ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, সামরিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা থাকবে। তবে তাইওয়ানকে ঠিক কী ধরনের অস্ত্র বা সরঞ্জাম দেওয়া হবে তার উল্লেখ করেনি হোয়াইট হাউস।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এবারের প্যাকেজে বহনযোগ্য বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ছোট আকারের অস্ত্রের জন্য গোলাবারুদ ও গোয়েন্দা সরঞ্জাম থাকবে।
তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থি সাই ইং-ওয়েন সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে জো বাইডেন প্রশাসন। এ নিয়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের উত্তেজনা চলছে। নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের এ ঘোষণার পর পর স্বাভাবিকভাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চীন।
তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে থাকে চীন। একসময় স্বশাসিত দ্বীপটিকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে তারা। এমনকি প্রয়োজন হলে বল প্রয়োগের কথাও জানিয়েছে দেশটি।
এক বিবৃতিতে ওয়াশিংটনের চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে হবে। তাইওয়ান প্রণালিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করে, এমন কিছু করা যাবে না।
সাম্প্রতিক বছরে তাইপেকে বিলিয়ন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে ওয়াশিংটন। এমনকি ২০২৬ সালের মধ্যে ৬৬টি মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহের কথা রয়েছে।