ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৯১ মামলায় মোট সাজার পরিমান হতে পারে ৭১৭ বছর!

আইন আদালত আন্তর্জাতিক

সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালের এক নির্বাচনী সমাবেশে খুব গর্বের সঙ্গে বলেছিলেন যে, তিনি ফিফথ অ্যাভিনিউতে কাউকে গুলি করতে পারেন এবং এজন্য তার কিছ্ইু হবে না।

কিন্তু সাত বছর পর পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। দুটি অভিশংসন, একটি যৌন নিপীড়নের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর গত সোমবার জর্জিয়ার ফুলটন কাউন্টিতে চতুর্থ বারের মতো দোষী হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগের পরিমাণ এখন ৯১টি।

ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প যে সব অপরাধমূলক অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছেন, সেগুলোর সব সাজা যোগ করলে তার সম্ভাব্য কারাদণ্ড হতে পারে ৭১৭ বছর ছয় মাসের। যদিও ট্রাম্পের এত সময় সাজা খাটার সম্ভাবনা নেই।

তিনি নিউইয়র্কে ৩৪টি ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। যেখানে প্রতিটি অপরাধের জন্য জামিনের ক্ষেত্রে দিতে হবে ৩৯ হাজার মার্কিন ডলার বা মোট এক দশমিক ৩৬ মিলিয়ন ডলার।

তবে বেইল এজেন্ট নেটওয়ার্ক অনুসারে, মুক্তভাবে বিচারিক ট্রাইব্যুনালে থাকার জন্য প্রতিটি অপরাধের জামিনের জন্য গুনতে হতে পারে দুই লাখ মার্কিন ডলার করে। সেক্ষেত্রে মোট অর্থের অঙ্ক হতে পারে আরও কয়েকগুণ।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- ২০২১ সালের জানুয়ারি ক্যাপিটাল ভবনে হামলার ঘটনা, দেশের গোপনীয় দলিলপত্র তিনি নিজের কাছে রেখে দেয়া এবং একজন পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়ার বিষয়টি গোপন রাখার জন্য তথ্য জাল করা।

এছাড়া ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হওয়ার পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, ওই নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিলেন তিনি।

এ বিষয়ে চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রকে প্রবঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ষড়যন্ত্র, সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করা এবং নাগরিক নাগরিকের অধিকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

বয়ড়ার এক প্রতিবেদনে বলেছে, নির্বাচনে ফল পাল্টানোর ওই মামলায় আগামী ২৫ আগস্ট ফৌজদারি আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার কথা ট্রাম্পের। এর আগে আটলান্টার কুখ্যাত ফুলুন কাউন্টি কারাগারে কয়েক ঘণ্টা থাকতে হতে পারে তাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *