বাংলাদেশের আগ্রহ নেই চীনের বাজার ধরতে

অর্থ ও বাণিজ্য জাতীয়

সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক

বিশ্ব বাণিজ্যে চীন একদিকে শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ। অন্যদিকে ১৪০ কোটি মানুষের চাহিদাসহ পণ্য রপ্তানির কাঁচামাল আমদানিতে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ।

কিন্তু সেই বাজার ধরার আগ্রহ নেই বাংলাদেশের। শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবার পরও চীনের বাজারে নেই বাংলাদেশি পণ্য তুলে ধরার কোনো উদ্যোগ। দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ মাত্র ৬৮ কোটি ডলার।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের এসএমই পণ্য, চা, সবজি, চামড়া ও পাটজাত পণ্যসহ বহু পণ্যের চাহিদা আছে চীনে।

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয় চীন। পরে চামড়াজাত পণ্য যুক্ত করায় বর্তমানে ৯৮ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ৯ হাজার পণ্য চীনে শুল্কমুক্ত সুবিধায় রপ্তানির সুযোগ নিতে পারে বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর ২০২১-২২ অর্থবছরে চীনে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল মাত্র ৬৮ কোটি ডলার।

তিনি বলেন, চীনের বাজারে আমদানিকে লক্ষ্য করে আমাদের যে রপ্তানি সাজানো বা চীনের বাজার সুবিধাকে গ্রহণ করা বিষয়ে যে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার ছিল তাতে ঘাটতি রয়ে গেছে। চীনের আমদানি বাজার আড়াই হাজার বিলিয়ন ডলারের ওপরে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বা আজিয়ান কান্ট্রিগুলো বা ভারতও চীনে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার পণ্য রপ্তানি করে থাকে। সেই তুলনায় আমাদের রপ্তানি অনেক কম।

বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের মহাসচিব আল মামুন মৃধা বলেন, আজ পর্যন্ত আমাদের পণ্যগুলোর প্রমোশনাল অ্যাক্টিভিটিজ চায়নার বাজারে হয়নি। তাদের বড় বড় বায়ার, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলা দরকার। তারা সারা বছর সিঙ্গেল কান্ট্রি ফেয়ার করছে। বিভিন্ন জায়গায় তাদের পণ্যে প্রোমোট করার জন্য যে এগ্রেসিভ অ্যাপরোচগুলো নেওয়া দরকার, বাংলাদেশের একটি কোম্পানিও এ ব্যাপারে এগোয়নি। এমনকি বাংলাদেশ সরকারও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

চীনের অর্থনীতির একটা বড় অংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প নির্ভর। তাই বাংলাদেশের পাট ও চামড়াজাত পণ্য, এসএমইসহ বেশ কিছু পণ্যের চাহিদা আছে দেশটিতে।

১২ হাজার ডলারের বেশি মাথাপিছু আয়ের বিশাল এই বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়াতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *