জিএম কাদের ভারত সফর শেষে, নির্বাচন নিয়ে যে বার্তা দিলেন

জাতীয় রাজনীতি

সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক

ভারত সফর শেষে নেতাকর্মীরা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জিএম কাদেরকে স্বাগত জানান

তিন দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। বুধবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এ সময় দলের নেতাকর্মীরা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটে তাকে স্বাগত জানান। তবে দলের কো চেয়ারম্যান সহ সিনিয়র নেতাদের কেউ বিমানবন্দরে যাননি।

এই সফরে কার কার সঙ্গে বৈঠক এবং কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এ নিয়ে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, আমি ভারত সরকারের আমন্ত্রণে সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনা কার সঙ্গে হয়েছে বা কী বিষয়ে হয়েছে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত বলতে পারবো না। কারণ আলাপগুলো ওইভাবেই হয়েছে। উনারা যদি কিছু প্রকাশ করতে চান করবেন, আমার পক্ষ থেকে উনাদের পারমিশন ছাড়া কিছু বলতে পারবো না। তবে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

জাপা সম্পর্কে ভারতের ভালো ধারণা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার কাছে ভালো লেগেছে যে জাতীয় পার্টি সম্পর্কে উনাদের ধারণা ভালো। পার্টিকে একটা সম্ভাবনাময় দল মনে করেন তারা। উনাদের আস্থা আছে যে জাতীয় পার্টির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক সৌহার্দপূর্ণ ছিল যা সব সময় থাকবে।

জাতীয় পার্টির সূত্র জানিয়েছে, এই সফরে জি এম কাদেরের সঙ্গে তার স্ত্রী ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শেরিফা কাদের এবং দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা মাশরুর মাওলা ছিলেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অবস্থান, অংশগ্রহণ এবং জোট গঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে ভারতের বিজেপি নেতা ও সরকারের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রী পর্যায়ে এই সফরে সাক্ষাৎ করেন।

এর আগে ২০ আগস্ট দুপুরে ভারতের দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন জি এম কাদের। কাদের বলেন, রওশন এরশাদের সঙ্গে আমার কোন বিরোধ নেই। জাপা এক আছে।

জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব নেই।

তিনি বলেন, ভাবির অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন কাগজপত্রে সই করাচ্ছে। উনার থেকে বক্তব্য নেওয়া হচ্ছে। আমার জানামতে তিনি নিজের ইচ্ছায় এগুলো দিচ্ছেন না। এটা করার উদ্দেশ্য, জাতীয় পার্টিকে দুর্বল করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *