রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত: এখন পর্যন্ত যা জানা গেল

আন্তর্জাতিক

অনলাইন ডেস্ক

রাশিয়ার তিভের অঞ্চলে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় – টেলিগ্রাম

রাশিয়ায় ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনকে বহনকারী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ওই বিমানে থাকা ১০ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ গণমাধ্যম।
বুধবার মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ যাওয়ার পথে ‘এমব্রায়ের লিগ্যাসি’ নামের ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ দুর্ঘটনা সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে:

রাশিয়ার বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে বিধ্বস্ত ওই বিমানে ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন ছিলেন।

ওই বিমানের ঘোষিত যাত্রীদের তালিকায় প্রিগোজিনের নাম ছিল। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ওয়াগগনার কমান্ডার দিমিত্রি উৎকিনও ওই বিমানে ছিলেন।
রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কুঝেঙ্কিনো গ্রামের কাছে ব্যক্তিগত বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এর আরোহীদের সবাই নিহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ছোট বিমানটি মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ যাচ্ছিল। এতে তিনজন ক্রুসহ মোট ১০ জন আরোহী ছিলেন।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানটি যে জায়গায় আছড়ে পড়েছে, সেখানে ১০টি মরদেহ পাওয়া গেছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ওয়াগনারপ্রধান। ইউক্রেন যুদ্ধেও রাশিয়ার হয়ে লড়ছিলেন ওয়াগনার যোদ্ধারা।
রুশ সামরিক নেতৃত্বের প্রতি প্রিগোজিনের অসন্তোষ ছিল। এ কারণে গত ২৩ জুন হঠাৎ বিদ্রোহ করে বসেন তিনি।

রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষণস্থায়ী ওই বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেওয়ার পর অনেকটা আড়ালে চলে যান প্রিগোজিন। ওই বিদ্রোহ মাত্র ২৪ ঘণ্টা টিকেছিল।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে সর্বশেষ প্রিগোজিনকে একটি ভিডিওতে দেখা যায়। আফ্রিকার অজ্ঞাত কোনো জায়গায় ভিডিওটি ধারণ করা হয় বলে মনে করা হচ্ছে।

ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী ওয়াগনার গ্রুপ ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। জুনের ওই বিদ্রোহের আগ পর্যন্ত ইউক্রেন যুদ্ধে ওয়াগনারের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *