আমিরাতে ৩ মাসে ৫ হাজার প্রবাসীর এনআইডির আবেদন

অন্যান্য জাতীয়

ইউএই প্রতিনিধি


ফাইল ছবি

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা কোটি রেমিট্যান্স যোদ্ধার দাবির প্রেক্ষিতে বিদেশে জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) প্রদান কার্যক্রম চালু করেছে নির্বাচন কমিশন। গত জুন মাসে মাঝামাঝি প্রথম দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই পাইলট প্রজেক্টের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। শুরুতে একমাস পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলে। এরপর দেশটিতে ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে স্মার্ট কার্ডের আবেদনের সংখ্যা। আমিরাতের দুটো বাংলাদেশ মিশন জানায়, গত তিন মাসে আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটে প্রায় ৫ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি এনআইডি স্মার্ট কার্ডের আবেদন করেছেন। প্রতিদিন বাড়ছে আরো আবেদনকারীর সংখ্যা। গড়ে ৮০ থেকে একশ জন প্রবাসী দৈনিক আবেদন করছেন।

দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন সমকালকে জানান, দুবাই ও উত্তর আমিরাত থেকে গত তিন মাসে ৩ হাজার ৭০০ প্রবাসী বাংলাদেশি নতুন জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করেছেন। প্রতিদিন এই আবেদনের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে ২০০টি নতুন স্মার্টকার্ড হস্তান্তর করেছে তারা। বাকি আবেদনগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আবুধাবি দূতাবাসের মিনিস্টার লেবার আবদুল আউয়াল জানান, আবুধাবি দূতাবাসে গত দুই মাসে আবেদন প্রায় ১ হাজার ২০০ জন প্রবাসী স্মার্টকার্ডের আবেদন করেছেন। তার মধ্যে ১০০ জনের স্মার্টকার্ড হস্তান্তর করা হয়েছে। আরো অর্ধশত স্মার্টকার্ড প্রস্তুত রয়েছে।

আবদুল আউয়াল বলেন, ‘আবেদনকারী ১১ দিনের মাথায় অনলাইনে তার এনআইডি পেয়ে যাচ্ছেন। এক মাসের মাথায় স্মার্টকার্ড হাতে পাচ্ছেন প্রবাসীরা। দেশ থেকে কার্ড প্রস্তুত হয়ে এলে আবেদনকারীদের ফোন করে বা ক্ষুদে বার্তায় এনআইডি গ্রহণের সময় জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’

এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বর্তমানে প্রায় দশ লক্ষাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। যাদের একটি বড় অংশের নেই জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড। বৃহত্তর এই রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন কমিশন প্রবাসীদের স্মার্টকার্ড প্রদানের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রবাসীরা।

নির্বাচন কমিশন জানান, বিশ্বের ৪০টি দেশে প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। আগামী একবছরের মধ্যে অন্তত ১৫টি দেশে এই কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। যেসব দেশে প্রবাসীর সংখ্যা বেশি, রেমিট্যান্সের পরিমাণ বেশি সেসব দেশে অগ্রাধিকার থাকবে। আমিরাতে এনআইডির এই কার্যক্রম সফল হলে এরপর পর্যায়ক্রমে সৌদি আরব, কুয়েত ও মালয়েশিয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের কার্যক্রম চলমান রাখবে নির্বাচন কমিশন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *