যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে: কৃষিমন্ত্রী

জাতীয় রাজনীতি

সুবর্ণবাঙলা প্রতিবেদন

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি ঘোষণা এবং বিধিনিষেধ আরোপের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ক্ষমতাসীনরা। সরকারের একজন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে তারা মনে করছেন। তারা এটিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবেও দেখেন।

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক শনিবার বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ দেশের জন্য লজ্জাজনক। এটা যেকোনো দেশের জন্য লজ্জাজনক হবে। তবে এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।

এই বক্তব্যের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি-জামায়াত অসত্য তথ্য দিয়েছে। আর সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এসব পদক্ষেপ এসেছে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, দেশে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করবে। এখানে সঠিক ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স রয়েছে এবং রয়েছে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য আইন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার সব পরিবেশ আছে। এরপরও আর কীভাবে পরিবেশ তৈরি করা যাবে।

আব্দুর রাজ্জাক মনে করেন, সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন হবে। এরপরও যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের পদক্ষেপ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি ঘোষণা করে গত মে মাসে। চার মাসের মাথায় এখন শুক্রবার এই ভিসার বিধিনিষেধ আরোপ শুরু করার কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তাহলে ভিসা নীতি ঘোষণার পর চার মাসেও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হলো না এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ভিসার বিধিনিষেধ কার্যকর করতে হচ্ছে—এমন প্রশ্ন অনেকে তুলেছেন। তবে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। সরকার তাদের সহায়তা করছে এবং করবে। এখানে সুষ্ঠু পরিবেশ আছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে এবং তা অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।

আব্দুর রাজ্জাক মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমানের সাজা হওয়ার ঘটনা নিয়ে ইউরোপের কয়েকটি দেশের বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিতে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছেন আদিলুর রহমান খান। সে জন্য আদালত তার সাজা দিয়েছেন। কিন্তু সে ব্যাপারও কথা বলেছে বিভিন্ন দেশ।

আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশের বিচারবিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং তারা দেশের আইন অনুযায়ী অপরাধের বিচার করেছে। এ নিয়েও যখন কথা বলা হয়, সেটাও একটা স্বাধীন দেশের বিচার কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ বলে আমরা মনে করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *