ফিলিপিনো জেলেকে ধাওয়া দিল চীনা উপকূলরক্ষীরা

আন্তর্জাতিক

অনলাইন ডেস্ক

ফিলিপাইনের নৌকাকে অনুসরণ করছে চীনা জাহাজ। ছবি: দ্য স্টার ডটকম

ফিলিপাইনের এক জেলে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে স্কারবোরো শোলের অগভীর জলে মাছ ধরার সময় ধাওয়া দিয়েছে চীনা উপকূলরক্ষীরা। ওই সময় মোটর-চালিত নিজের ছোট কাঠের নৌকায় করে মাছ ধরছিলেন আর্নেল সাতাম নামের জেলে।

বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে দ্য স্টার ডটকম এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার ওই ঘটনা ঘটে। এএফপির সাংবাদিক ওই ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন, যিনি ফিলিপাইনের কোস্টগার্ডের জাহাজে অবস্থান করছিলেন।

খবরে বলা হয়েছে, বিতর্কিত জলসীমায় আর্নেল সাতাম মাছ ধরার সময় চীনা উপকূলরক্ষীরা স্পিডবোট নিয়ে তাকে তাড়া করে, যা কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়। সাগরের ওই এলাকায় বেশি মাছ ধরা পড়ার কারণে সেখানে যান সাতাম।

এএফপির প্রতিবেদক যে জাহাজে ছিলেন সেটি ফিলিপাইন ব্যুরো অফ ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াটিক রিসোর্সেস জাহাজ বিআরপি দাতু ব্যাঙ্কো। এটি ফিলিপিনো জেলেদের মাঝে সপ্তাহের শেষের দিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ জলসীমায় চলাচলকারী জেলেদের খাবার, জল এবং জ্বালানি সরবরাহ করছিল।

মৎস্যজীবীরা অভিযোগ করছেন, স্কারবোরো শোল তাদের আয়ের মূল উৎস। কিন্তু চীনের কর্মকাণ্ড তাদের উপার্জনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। এ ছাড়া ঝড়ের সময় তারা যে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতেন, সে জায়গাও কেড়ে নিচ্ছে বেইজিং।

৫৪ বছর বয়সী ‘সাহসী’ সাতাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সেখানে মাছ ধরতে চাই। আমি প্রায়শই এই কাজ করি। তারা আজকে আগে থেকেই আমাকে তাড়া করেছে।’ চীনা স্পিডবোটগুলি তার জাহাজকে ধাক্কা দিয়েছে বলেও অভিযোগ তার।

তবে ‘আমি শুধু তাদের দেখে হেসেছিলাম,’ বলেন সাতাম।

প্রসঙ্গত, স্কারবোরো শোল ফিলিপাইনের প্রধান দ্বীপ লুজন থেকে ২৪০ কিলোমিটার (১৫০ মাইল) পশ্চিমে এবং চীনের হাইনানের নিকটতম প্রধান সমতল ভূমি থেকে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দূরে।

১৯৮২ সালের সাগর আইন সম্পর্কিত জাতিসংঘের কনভেনশনের অধীনে, দেশগুলো তাদের তীরের প্রায় ২০০ নটিক্যাল মাইলের (৩৭০ কিলোমিটার) মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদের এখতিয়ার বজায় রাখতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *