স্পোর্টস ডেস্ক
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ২য় ওয়ানডে ম্যাচের একটা ঘটনা নজর কেড়েছে। বোলিংয়ের সময় নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ব্যাটসম্যান ইশ সোধি আগেই বেরিয়ে গেলে পেসার হাসান মাহমুদ স্টাম্প ভেঙে দেন। আম্পায়ারও জানিয়ে দেন আউট। তবে পরে অধিনায়ক লিটন ও হাসান মিলে সোধিকে আবারও ফিরিয়ে আনেন।
আইসিসি বেশ কিছুদিন হলোই এটাকে বৈধ রান আউট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আগে যেটিকে ব্যাটসম্যানের ‘আনফেয়ার’ আচরণ বলা হত এবং বোলার এক্ষেত্রে আউট করলে তা স্পিরিট অফ ক্রিকেটের বিপক্ষে যায় কি না সে নিয়েও বিস্তর বিতর্ক হয়েছে।
তবে এবারের বিশ্বকাপে হয়তো এমন দৃশ্য প্রথমবারের মতো দেখা যেতে পারে। আর স্বাগতিক ভারত বরাবরই এ রকম আউটের পক্ষে কথা বলে এসেছে, যেটা ‘মানকাড’ আউট হিসেবে পরিচিত।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের একটা ঘটনাও আলোড়ন তোলে।
যখন ফ্রি-হিটে বোল্ড হয়ে গেলেও দৌড়ে রান নেন ভিরাট কোহলি। প্রচুর তর্ক-বিতর্কের পর এ বছর সেটিকে নিয়মে অন্তুর্ভুক্ত করেছে আইসিসি। অর্থাৎ ফ্রি হিটের সময় যদি ব্যাটসম্যানের স্টাম্প ভেঙে যায় তবুও তিনি দৌড়ে রান নিতে পারবেন, যা অতিরিক্ত খাতায় যোগ হবে।
এছাড়া টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ানডেতেও এবার ফিল্ডিং দলকে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেধে দিয়েছে আইসিসি। সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই শেষ করতে হবে ৫০ ওভার বোলিং। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় ১৪ ওভারের একটু বেশি।
সেটাতে ব্যর্থ হলে বোলিংয়ের শেষদিকে অতিরিক্ত সময়ের জন্য মাঠে ফিল্ডার রাখার ক্ষেত্রে জরিমানা দিতে হবে তাদের। অর্থাৎ শেষ ১০ ওভারে ৫ জনের জায়গায় বাউন্ডারিতে ৪ জন ফিল্ডার রাখা যাবে।
তবে নতুন নিয়মের ক্ষেত্রে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, আইসিসি বিশ্বকাপের পিচ ও বাউন্ডারির ব্যাপারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে।
যেহেতু ভারতে এ সময় শিশির একটা বড় ফ্যাক্টর হতে যাচ্ছে সেহেতু, উইকেটে একটা নির্দিষ্ট মাত্রার ঘাস রাখতে বলেছে আইসিসি, যাতে পেসাররা বাড়তি সুবিধা পায়-এমনটি বলা হয় প্রতিবেদনে।
এছাড়া সাধারণত ওয়ানডে ম্যাচের জন্য আইসিসি সর্বনিম্ন ৬৫ মিটার বাউন্ডারির নির্দেশনা দিলেও বিশ্বকাপের জন্য তারা বাউন্ডারি সীমানা সর্বনিম্ন ৭০ মিটার করার কথা বলছে বলে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার দাবি। মাঠে ব্যাট-বলের ভারসাম্য আনতেই এমন চিন্তা আইসিসির।