অর্থমন্ত্রীর চেয়ে স্ত্রীর সম্পদ বেশি

জাতীয় রাজনীতি

সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক

কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ, লালমাই) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের চেয়ে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বেশি আছে তার স্ত্রী কাশমেরী কামালের। এ প্রার্থীর হাতে নগদ আছে ২৫ লাখ ৫৪ হাজার ৫০৯ টাকা এবং তার স্ত্রীর নগদ আছে ১ কোটি ৭২ লাখ ৪৯ হাজার ১ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এ প্রার্থীর নামে জমা আছে ৮ কোটি ৪৭ লাখ ২৪ হাজার ৬৪৪ টাকা। স্ত্রীর নামে আছে ৬২ লাখ ৯৭ হাজার ৬২৭ টাকা। বন্ড, স্টক একচেঞ্জে আছে ৫ কোটি ৪৪ লাখ ২ হাজার ১৫৩ টাকা। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর নামে রয়েছে ১১ কোটি ৪২ লাখ ১৩ টাকা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মুস্তফা কামালের দাখিল করা হলফনামা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

তার হলফনামায় নিজ নামে পোস্টাল, সেভিংস, সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ ৬ কোটি ৩১ লাখ ৪৩ হাজার ৬০০ টাকা এবং স্ত্রীর নামে রয়েছে ২৫ কোটি ৫১ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৫ টাকা। অপরদিকে মন্ত্রীর নামে গাড়ি রয়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ২৮ হাজার ৭১৮ টাকার। স্ত্রীর নামে রয়েছে ২ কোটি ৩২ লাখ টাকার গাড়ি। সবমিলিয়ে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং এমপি ও মন্ত্রী হিসাবে সম্মানী ভাতাসহ তার নামে অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ৪১ কোটি ৯০ লাখ ৫৩ হাজার ৭১৪ টাকার। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৬২ কোটি ২৭ লাখ ১৯ হাজার ৪৭৮ টাকার।
হলফনামায় মন্ত্রীর বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ১ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৫১৬ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে আয় দেখিয়েছেন ৫ লাখ ৭৬ হাজার এবং শেয়ার বাজার সঞ্চয়পত্র থেকে ২১ লাখ ৯৮ হাজার ৭৬৯ টাকা। স্থাবর সম্পদেও মন্ত্রীর স্ত্রীর সম্পদ প্রায় দ্বিগুণ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রীর নামে স্থাবর সম্পদ রয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ ১৭ হাজার ৭৯ টাকা এবং তার স্ত্রীর নামে একাধিক প্লট-বাড়িসহ ৫ কোটি ৪২ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৮ টাকার সম্পদ রয়েছে। তবে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামার চেয়ে এবার মন্ত্রীর ২৪ কোটি ১৩ লাখ ৭৪ হাজার ৫৩০ টাকার সম্পদ হ্রাস দেখানো হয়েছে। এ সম্পদ স্ত্রী কাশমেরী কামাল, দুই কন্যা কাশফি কামাল ও নাফিসা কামাল এবং ৫ নাতি-নাতনিকে দান করা হয়েছে। ২০১৮ সালের হলফনামায় মোট সম্পদমূল্য উল্লেখ করা হয়েছিল ৬২ কোটি ১৭ লাখ ২১ হাজার ১৫৩ টাকা। এর আগে ২০১৪ সালের হলফনামায় তার বার্ষিক আয় উল্লেখ করা হয়েছিল ২ কোটি ৬৯ লাখ ৭৭ হাজার ৬৬৪ টাকা। সে হিসাবে মন্ত্রীর বার্ষিক আয় কয়েকগুণ বেড়েছে। এদিকে এ প্রার্থীর নামে মানি লন্ডারিং, দুদক, আয়কর, অপারেশন ক্লিনহার্টসহ ফৌজদারি আইনে মোট ৮টি মামলার তথ্য হলফনামায় উল্লেখ থাকলেও এসব মামলা থেকে তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

আ হ ম মুস্তফা কামাল একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। তিনি এ আসনের টানা তিনবারের সংসদ-সদস্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *