কয়লা সঙ্কট মিটেছে, পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু

জাতীয় বিদ্যুত ও জ্বালানি

সুবর্ণবাঙলা প্রতিবেদক

কয়লা সঙ্কটে ২০ দিন বন্ধ থাকার পর চালু হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রা। রোববার বিকেল চারটা পাঁচ মিনিটে এ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। পরে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরাসরি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।

কেন্দ্রটি চালু রাখতে কয়লা সঙ্কট মিটেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএম খোরশেদুল আলম জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ মালিকানার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুরো ক্ষমতা অনুযায়ী চালাতে দিনে প্রায় ১৩ হাজার টন কয়লা প্রয়োজন হয়।

এরিমধ্যে ৪০ হাজার টন কয়লা জাহাজ থেকে খালাস করা হয়েছে। ঈদের পর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চাহিদা অনুযায়ী কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিটও চালু হবে। আপাতত দুটি ইউনিটের একটি চালু করা হলো। অপরটি চালু করতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।

তিনি জানান, প্রথম জাহাজে ৪০ হাজার টন কয়লা এসেছে। দুই এক দিনের মধ্যে পরের জাহাজটিও পৌঁছে যাবে।

তিনি আরও বলেন, পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র সরকারের মহাপরিকল্পনার প্রথম বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র। যা সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। তবে এটি বন্ধ থাকলে বসিয়ে রেখেই মোটা অংকের ঋণের কিস্তি গুনতে হয়। ঈদের সময় বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় শুধু প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ দেয়া হবে। ঈদের পর চাহিদা অনুযায়ী দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও কম খরচে বিদ্যুৎ মিলবে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রেজওয়ান ইকবাল খান জানিয়েছেন, সকালে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বয়লার চালু করা হয়। সকাল থেকে চিমনি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। টারবাইনে কয়লা লোড দেওয়া শেষ হয়েছে বিকাল ৪টায়। এর পাঁচ মিনিট পর সময় একটি ইউনিটে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে যা সরাসরি যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।

তিনি আরও বলেন, গত রাত থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছিলাম।

প্রসঙ্গত, ডলার সঙ্কটের কারণে বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় দেখা দেয় কয়লা সঙ্কট। যার ফলে গত ২৫ মে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দুই ইউনিটের একটি বন্ধ হয়ে যায়। বাকি কয়লা দিয়ে অপর ইউনিটটি কিছু দিন চালানোর পর পাঁচ জুন সেটিও বন্ধ হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *