সুবর্ণবাঙলা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ নির্বাচনে কারচুপি হয়েছিল। ভোট কেনাবেচা হয়েছিল। বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীণ গণতন্ত্রের দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পর্কে এমন বিস্ফোরক মন্তব্যই করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বলেছেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে ডাকযোগে আসা যেসব ভোট (পোস্টাল ভোট) গণনা হয়েছিল, সবগুলোই ছিল নগদ অর্থে কেনা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সোমবার রিপাবলিকান দলের আইওয়া রাজ্যের ককাসে (প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাই পর্বের প্রথম ধাপ) দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিধস জয়ের পরদিনই প্রেসিডেন্ট পুতিনের এমন বক্তব্যের র্অর্থ হলো-আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন করবে মস্কো। কৌশলে সেটাই জানিয়ে দিলেন তিনি। রয়টার্স।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে পুতিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ (প্রেসিডেন্ট) নির্বাচনে ডাকযোগে আসা ভোটগুলোতে কারচুপি হয়েছিল। তারা (ডেমোক্রেটিক পার্টি) প্রতিটি ব্যালট ১০ ডলারে কিনে তা নিজেরা পূরণ করে মেইলবক্সে জমা করেছিল এবং বিভিন্ন কৌশলে এই ব্যাপারটিকে তারা পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টির আড়ালে রাখতে সফল হয়েছিল। এটাই সত্য।’
ওই নির্বাচনেই যুক্তরাষ্ট্রের সেই সময়ের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করে নতুন প্রেসিডেন্ট হন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন। অবশ্য ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরপরই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ভোট কারচুপির অভিযোগ আনেন। কেবল অভিযোগ তুলেই ক্ষান্ত হননি, নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি আদালতে মামলাও করেছিলেন। কিন্তু সেসব মামলার একটি রায়ও তার পক্ষে যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রে ভোটকেন্দ্র খুলবে রাশিয়া: মার্চের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি কূটনৈতিক মিশনে ভোটকেন্দ্র খুলবে রাশিয়া। বুধবার মস্কোর ওয়াশিংটন দূতাবাস প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তেনোভ।
বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে আমরা তিনটি ভোটকেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা করছি। ওয়াশিংটনে আমাদের দূতাবাসের পাশাপাশি নিউইয়র্ক এবং হিউস্টনে আমাদের কনস্যুলেটগুলোতে এসব ভোটকেন্দ্র খোলা হচ্ছে।’
‘বন্ধুত্বহীন’ ইউরোপীয় দেশগুলোতে ভোটকেন্দ্র খোলা হবে কি-না সে ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি-ক্রেমলিনের এমন বক্তব্যের পরপরই যুক্তরাষ্ট্রে ভোটকেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা জানাল রুশ দূতাবাস। ‘আগামী ১৭ মার্চ রাশিয়ায় আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দেশটির দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা ভ্লাদিমির পুতিনের শাসন কমপক্ষে ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রসারিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এএফপি।