সুদান থেকে দেশে ফিরতে ৭০০ বাংলাদেশির নিবন্ধন

আন্তর্জাতিক

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

যুদ্ধবিরতির পর সুদানজুড়ে চলছে ভয়াবহ সংঘর্ষ।

সুদান থেকে দেশে ফেরার জন্য আগ্রহী বাংলাদেশিদের জড়ো করা হচ্ছে। খারতুমে বাংলাদেশ মিশনে এখন পর্যন্ত ৭০০ বাংলাদেশি দেশে ফিরতে আগ্রহ জানিয়ে নিবন্ধন করেছেন।

ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক তারিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, খারতুমে বাংলাদেশ দূতাবাস যে অঞ্চলে অবস্থিত, সেখানে পরিস্থিতি ভালো নয়। তাই দূতাবাসের কর্মকর্তারা রাজধানীর আশপাশে নিরাপদ স্থানে সরে গিয়ে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার বিষয় তদারকি করছেন।

তিনি আরও বলেন, দেশে ফেরানোর জন্য পরিবহণ, খাদ্য, সাময়িকভাবে প্রতিবেশী দেশে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলো, বিশেষ করে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ ও জেদ্দায় বাংলাদেশ মিশনকে সতর্ক করা হয়েছে। খুব শিগগিরই বাংলাদেশিদের প্রথম দলকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হব। তবে এক ধাপে সবাইকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, সুদানে কোনো বাংলাদেশি হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে অনেক বাংলাদেশির বাড়িঘরে লুটপাট হয়েছে। সুদানে বর্তমানে ১২০০ থেকে ১৫০০ বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছেন। তাদের কেউ কেউ নির্মাণ খাতের কর্মী, কেউ আবার গৃহপরিচারিকা, বাড়ির কেয়ারটেকার। খারতুমে গোলাগুলি চলাকালে বাংলাদেশ দূতাবাসের দেওয়ালে গুলি লেগেছে। এতে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সেখানে কেউ নেই। কর্মকর্তারা সবাই নিরাপদ স্থানে খারতুমের বাইরে অবস্থান নিয়েছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার জন্য সীমান্ত অতিক্রম করার নিরাপদ রুট খোঁজা হচ্ছে। সীমান্ত অতিক্রম করে পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নিলে সেখান থেকে বিমানে বাংলাদেশিদের ফেরানো হবে।

সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে অন্য দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। মঙ্গলবার তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, খারতুমে বাংলাদেশ দূতাবাস ইতোমধ্যে এই বার্তা সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রচার শুরু করেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে, কিভাবে কোন পদ্ধতিতে তারা যাত্রা করবেন। সবাইকে দূতাবাসের নির্দেশনা মেনে রেজিস্ট্রেশন এবং প্রয়োজনীয় কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন শাহরিয়ার আলম।

তিনি বাংলাদেশের সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন দূতাবাসে যোগাযোগ না করার জন্য। কারণ সবাই ব্যস্ত এবং রুটগুলো নিরাপত্তার খাতিরে না জানানোই ভালো। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *