সুবর্ণবাঙলা অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষে মাথা ফেটে যাওয়া অপূর্ব চক্রবর্তীকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন হাসপাতালে তার সঙ্গে থাকা স্বাগতম বাড়ই নামে জগন্নাথ হলেরই এক শিক্ষার্থী।
আহত অপূর্ব চক্রবর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফমেন্স স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্বরস্বতী পূজা উপলক্ষে জগন্নাথ হলের খেলার মাঠে আয়োজিত কনসার্ট চলাকালে ধাক্কাধাক্কি হয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীদের মধ্যে। এরপর চেয়ার ছোড়াছুড়ি, হাতাহাতি ও কয়েক দফায় সংঘটিত হয় সংঘর্ষ। এই সংঘর্ষে মাথা ফেটে যায় অপূর্ব চক্রবর্তীর। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সংঘর্ষের এই ঘটনায় তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীদের মধ্যে আহত হন অপূর্বসহ পলাশ রায় সৌরব, পল্লব মণ্ডল, অর্পন কুমার বাপ্পি, বিপ্লব পাল, বর্ষন রয়, কার্তিক কুমার।
অন্যদিকে, শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারীদের মধ্যে আহত হন প্রিতম, অভিষেক ভাদুড়ি, জয় দাস, ধ্রুব, চিন্ময়, রিদ্ধি ও অভি।
অপূর্বকে আইসিইউতে নেওয়া প্রসঙ্গে স্বাগতম বাড়ই বলেন, অপূর্ব চক্রবর্তী দাদাকে ৮টার দিকে পপুলার হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। উনি এখনো আইসিইউতেই আছেন। উনি কথা বলতে পারছেন না, কোনো কথার উত্তর দিতে পারছেন না এবং কোনো কিছু বুঝতে পারছেন না। ওনার মাথার একদম মাঝখানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, যেখানে ৮টা সেলাই লেগেছে। আর কপালের দিকে যেখানে আঘাত পেয়েছে, সেখানে ৩টা সেলাই লেগেছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতের প্রথমদিকে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনানের গ্রুপ থেকে এক কর্মীর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের গ্রুপে আসা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এরপর রাতেই হলে আয়োজিত কনসার্টে ধাক্কাধাক্কিকে কেন্দ্র করে কয়েক দফায় সংঘটিত সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন বা তারও বেশি আহত হয়। এর পরের দিন (শুক্রবার) রাতের ঘটনা জানিয়ে সৈকতের অনুসারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ইনানের কাছে বিচার দিতে গেলে আবার সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রুপ।