স্কুলে না যাওয়ায় ১৩ বছরের ছেলেকে বিয়ে দিল পরিবার

আন্তর্জাতিক

অনলাইন ডেস্ক


কিশোর-কিশোরীর বিয়ে।

‘বিয়ে না দিলে স্কুলে যাব না’ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন একটি ঘটনা ভাইরাল হয়। পরে
স্কুলপড়ুয়া দুই কিশোর ও কিশোরীকে বিয়ে দিয়ে দেয় পরিবার। আর বিয়ের এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।

ভিডিওটির ছেলেটির বয়স ১৩ বছর, সে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র এবং মেয়েটির বয়স ১২ বছর, সে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তারা পাকিস্তানের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ওই কিশোর হঠাৎ তার পরিবারের কাছে দাবি করে, বিয়ে না দিলে সে আর স্কুলে যাবে না।

এমন দাবির মুখে দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বাগ্দান সম্পন্ন হয়েছে। যদিও এ বিষয়টির সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা। এমন ভিডিও বাল্যবিবাহে প্ররোচিত করবে বলেও মত তাদের।

পাকিস্তানে ছেলেদের জন্য বিয়ের বয়স ন্যূনতম বয়স ১৮ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৬ বছর। যদিও সিন্ধু প্রদেশে ২০১৩ সালে উভয় লিঙ্গের জন্য বিবাহের ন্যূনতম বয়স ১৮ করে আইন পাস হয়। তবে সেটি দেশব্যাপী কার্যকর হয়নি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে ওই কিশোর-কিশোরীকে আংটিবদল করতে দেখা গেছে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর নেটিজনদের সমালোচনার জবাবে ওই কিশোর-কিশোরী জানায়, লোকেরা তাদের বিয়ে নিয়ে কী বলছে, তা নিয়ে তারা ভাবতে নারাজ । বাগ্‌দানের পরও তারা নিয়ম করে স্কুলে যাবে। দু’জনের জন্যই পড়াশোনা শেষ করা সবচেয়ে বেশি জরুরি বলে জানায় তারা।

ভিডিওতে দেখা গেছে, পরিবারের লোকেদের উপস্থিতিতেই বাগ্‌দান সেরেছে দু’জনে। বর-কনের মায়েরাও তাদের ছেলেমেয়ের আংটিবদল হতে দেখে বেশ খুশি।

পরিবারের লোকজনরা জানান, ছেলেটি মেয়েটিকে বেশকিছু দিন ধরেই পছন্দ করে। সে বাবাকে বলে, তার বিয়ে না দিলে সে আর স্কুলে যাবে না। ছেলের আবদার ফেলতে পারেননি বাবা। ধুমধাম করে বাগ্‌দানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন তিনি। তবে এখনই ছেলের বিয়ে দেবেন কি-না, তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

এদিকে, মেয়ের বাগ্দানে বেশ খুশি তার মা। তিনি বলেন, ‘আমারও ১৬ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল, তাই ওদের বিয়ে নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই।’

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *