শিশু পর্নোগ্রাফির দায়ে ফের গ্রেফতার টিপু কিবরিয়া

আইন আদালত জীবনযাপন হোম

সুবর্ণবাঙলা প্রতিবেদন

গ্রেফতার টিপু কিবরিয়া ও কামরুল ইসলাম । ছবি: সংগৃহীত

নিজে শিশুসাহিত্যিক হয়েও পথশিশুদের দিয়ে বানাতেন পর্নোগ্রাফি। সেগুলো আন্তর্জাতিক শিশু পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটে আপলোড করার পাশাপাশি বিক্রি করতেন বিভিন্ন চক্রের কাছে। একই অপরাধে ২০১৪ সালে গ্রেফতার হয়ে সাত বছর জেল খেটে জামিনে বের হলেও ফিরে যান আগের পেশায়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট এক সহযোগীসহ তাকে গ্রেফতার করেছে।

আন্তর্জাতিক শিশু পর্নোগ্রাফি চক্রের এ হোতার নাম টিআই এম ফখরুজ্জামান ওরফে টিপু কিবরিয়া। তার সহযোগীর নাম কামরুল ইসলাম ওরফে সাগর। এ সময় ভুক্তভোগী এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, এক সময় সেবা প্রকাশনীর একটি পত্রিকার সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন টিপু কিবরিয়া। শিশুসাহিত্যিক ও আলোকচিত্রী হিসেবেও নাম রয়েছে। বেশ কয়েকটি ছড়ার বই ছাড়াও ‘হরর ক্লাব’ নামে শিশুদের জন্য রচিত সিরিজ অনেকের কাছে পরিচিত।

পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, শিশু সাহিত্যিক হলেও টিপু কিবরিয়া বাংলাদেশে বসে আন্তর্জাতিক শিশু পর্নোগ্রাফি চক্রে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৪ সালের জুনে শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরি ও পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইন্টারপোলের তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডি তাকে প্রথম গ্রেফতার করে। ছয় বছর কারাগারে থাকার পর ২০২১ সালে জামিনে বের হয়ে আবার আগের কাজে ফিরে যান। অবশেষ মঙ্গলবার খিলগাঁও থেকে এক সহযোগীসহ সিটিটিসি তাকে গ্রেফতার করে। তার কাছে ইতালি, অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানিসহ অনেক দেশের গ্রাহকদের ২৫ হাজার শিশু পর্নোগ্রাফির ছবি ও ১ হাজার ভিডিও পাঠানোর তথ্য পাওয়া গেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, তার টার্গেট ছিল ছেলে শিশু। ঢাকার গুলিস্তান, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচশ থেকে হাজার টাকার প্রলোভনে পথশিশুদের সংগ্রহ করে তার বাসায় নিয়ে যেতেন। কখনো ক্রেতাদের চাহিদামতো জঙ্গলে নিয়েও ভিডিও ধারণ করতেন। তার বাসায় একটি ভিডিও প্যানেল রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে তার এজেন্ট রয়েছে। এ রকম বেশ কয়েকজন এজেন্টকে শনাক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ২৫-৩০ জনের মতো ভুক্তভোগী শিশুকেও শনাক্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার দুজনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে চক্রে আরও কারা জড়িত সেটি জানার চেষ্টা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *