ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ফিরিয়ে দিলেন শহিদুল আলম

আন্তর্জাতিক জাতীয় শিক্ষা-গবেষণা ও ক্যাম্পাস

সুবর্ণবাঙলা ডেস্ক

ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট ডিগ্রি ফিরিয়ে দিলেন শহিদুল আলম

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব দ্য আর্টস অব লন্ডনের (ইউএএল) কাছ থেকে পাওয়া সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রি ফেরত দিয়েছেন বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম।

ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং এসব শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবজ্ঞার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে শহিদুল আলম বলেছেন, তিনি ২০২২ সালের ৮ জুলাই এই সম্মানজনক ডিগ্রি গ্রহণ করেন। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়টি অ্যাকাডেমিক স্বাধীনতা এবং বাকস্বাধীনতার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতি প্রদর্শন করেছেন। সেই সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রতি সমর্থন জানাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি আমাকে আশ্বস্ত করেছিল।

শহিদুল আলম আরও বলেন, কিন্তু এই স্বস্তি কেটে যায় যখন দেখি প্রশাসন, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান উপাচার্যের অবস্থান ভিন্ন। শিক্ষার্থীরা বারবার বলছেন, তাদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। ইসরাইলি বা ইসরাইল অনুষঙ্গী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ইসরাইলের দখলদারি, বর্ণবাদ ও চলমান গণহত্যার অংশীদার।

এই পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিভার্সিটি অব আর্টস লন্ডনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান না বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন শহিদুল আলম। তিনি বলেন, সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট’ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন।

আলোকচিত্র এবং আন্দোলনের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শহিদুল আলমকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছিল।

শহিদুল আলম একইসঙ্গে দৃক পিকচার লাইব্রেরি, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট ও মেজরিটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ১৯৮৩ সালে লন্ডনের বেডফোর্ড কলেজ থেকে জৈব রসায়নে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *