ফাইনালে যে দুঃস্মৃতি ভুলতে চাইবে ‘চোকার্স’ দ. আফ্রিকা

খেলাধুলা

সুবর্ণবাঙলা ডেস্ক


দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল

বড় মঞ্চে একের পর এক ব্যর্থতার গল্প লিখে ‘চোকার্স’ তকমা পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিকেট বিশ্বের পরাশক্তিদের অন্যতম হয়েও বিশ্বকাপে তাদের কোনো সাফল্য নেই। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসর মিলিয়ে এবারই প্রথম কোনো বিশ্বকাপ ফাইনালের দেখা পেয়েছে তারা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই তাদের বহুবার হৃদয় ভেঙেছে। দুবার তো সেমিফাইনাল থেকেও বিদায় নিতে হয়েছে। কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপে তাদের এমন পাঁচটি হৃদয়ভাঙার গল্প নিয়ে এই লেখা, শনিবারের (২৯ জুন) ফাইনালে যে দুঃখগুলো চিরতরে ভোলার সুযোগ পেতে পারে প্রোটিয়ারা।

২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, বনাম ভারত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। স্বাগতিক হিসেবে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট ছিল তারা। কিন্তু ভারতের কাছে হারে সেমিফাইনালেও ওঠা হয়নি তাদের।

‘ভারত ক্ষমতার দাপটে যা খুশি করছে’

অবশ্য সেমিফাইনালে যেতে এই ম্যাচ না জিতলেও হতো। ১৫৪ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা ১২৬ রান করলেই পেয়ে যেত সেমির টিকিট। কিন্তু ২০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১১৬ রানের বেশি করতে পারেনি প্রোটিয়ারা।

২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, বনাম পাকিস্তান

প্রথমবার সেমিফাইনাল মিস হলেও পরের আসরে সেমিফাইনালের দেখা পেয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু সেমিফাইনালের ফাঁড়া আর কাটাতে পারেনি দলটি। হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ হেরে যায় তারা। ১৫০ রান তাড়া করতে নেমে জ্যাক ক্যালিস-জেপি ডুমিনির ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল তারা। শেষ ৩ ওভারে দরকার ২৯ রান, হাতে ৬ উইকেট। কিন্তু ক্যালিস আউট হতেই ম্যাচের লাগাম চলে যায় পাকিস্তানের হাতে। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হোঁচট খায় প্রোটিয়ারা।

২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, বনাম পাকিস্তান

এবার গ্রুপ পর্বেই পাকিস্তানে পা হড়কায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি দিয়েই দুই সেমিফাইনালিস্ট নির্ধারণ হতো। এমন ম্যাচে ১৪৯ রান তাড়া করতে গিয়েও হেরে বসে প্রোটিয়ারা। অথচ একটা সময় ৪ উইকেটে ১০১ রান নিয়ে কক্ষপথেই ছিল তারা। ক্রিজে ছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং মার্ক বাউচার। শেষ ২৭ বলে প্রয়োজন ছিল ৪৮ রান। কিন্তু প্রোটিয়ারা এই ম্যাচ ১১ রানে হেরে যায়।

২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

এই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১১৮ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও ৩৮ রানেই অজিদের ৩ উইকেট তুলে নিয়ে লো স্কোরিং ম্যাচে জয়ের আশা জাগিয়েছিল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।

আরও পড়ুন:
সুপার এইটে ব্যর্থতায় সাকিব-মাহমুদউল্লাহর দায় দেখছেন তাসকিন
সুপার এইটে ব্যর্থতায় সাকিব-মাহমুদউল্লাহর দায় দেখছেন তাসকিন

অন্য ম্যাচে শ্রীলংকার দেওয়া ১৪৩ রানের লক্ষ্য ছুঁতে ১৯.৫ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে হয় তাদের। যার ফলে শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের সমান পয়েন্ট হলেও নেট রানরেটে পিছিয়ে থাকায় সেমিফাইনালে খেলা হয়নি তাদের।

২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, বনাম নেদারল্যান্ডস

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচটা জিতলেই পয়েন্ট টেবিলে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলতে পারত দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা যে বিশ্বকাপে সহজ সমীকরণেও গুবলেট পাকাতে পটু। অঘটনের শিকার হয়ে ডাচদের কাছে ১৩ রানে ম্যাচটি হেরে যায় তারা। আরও একবার ‘চোকার্স’ তকমা নিয়েই বিশ্বকাপ শেষ হয় তাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *