জলিলি বনাম পেজেশকিয়ান, কে হবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট?

আন্তর্জাতিক রাজনীতি

অনলাইন ডেস্ক


ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫ জুলাই লড়বেন মাসুদ পেজেশকিয়ান ও সাঈদ জলিলি। ছবি:সংগৃহীত

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শুক্রবার লড়েছেন চার প্রার্থী। তারা হলেন- মাসুদ পেজেশকিয়ান, সাঈদ জলিলি, মোহাম্মদ বাকের কালিবাফ ও মোস্তফা পুরমোহাম্মদি।

এই চার প্রার্থীর কেউই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি। এর ফলে দ্বিতীয় দফা অর্থাৎ রান-অফে গড়িয়েছে নির্বাচন। আগামী ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে সেই নির্বাচন। তাতে লড়বেন সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং সাঈদ জালিলি।

পেজেশকিয়ান শুক্রবারের নির্বাচনে মোট ভোটের ৪২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জলিলি পেয়েছেন ৩৮ শতাংশ ভোট।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া পেজেশকিয়ান ছিলেন একমাত্র সংস্কারপন্থী প্রার্থী। আর তার বাকী তিন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন রক্ষণশীল বা কট্টরপন্থী। অর্থাৎ একদিকে ছিলেন সংস্কারপন্থী এক নেতা আর বিপরীতে লড়েছেন রক্ষণশীল তিন নেতা। আল-জাজিরা বলছে, এতে রক্ষণশীল নেতাদের ভোট ভাগ হয়ে গেছে তিন ভাগে।

যদি রক্ষণশীল তিন নেতার মোট ভোটসংখ্যা হিসাব করা হয় তাহলে দেখা যাবে তারা তিনজন মিলে সংস্কারপন্থী পেজেশকিয়ানের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। তাদের মধ্যে জলিলি পেয়েছেন ৩৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট, মোহাম্মদ বাকের কালিবাফ পেয়েছেন ১৩ দশমিক আট শতাংশ আর মোস্তফা পুরমোহাম্মদি পেয়েছেন শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ তিনজনে মিলে পেয়েছেন ৫২ শতাংশের বেশি ভোট। যা সংস্কারপন্থী পেজেশকিয়ানের পাওয়া ভোটের তুলনায় বেশি।

৫ জুলাইয়ের নির্বাচন হবে এক সংস্কারপন্থী বনাম এক রক্ষণশীল প্রার্থীর মধ্যে। রক্ষণশীলদের ভোট সেদিন আর ভাগ হবে না তিনভাগে। যারা রক্ষণশীল মতাদর্শের পক্ষে ভোট দেবেন তারা কেবল একজন প্রার্থীকেই ভোট দেবেন। আগেরবারের মতো তিনজনের মধ্যে ভোট ভাগ হয়ে যাবে না।

সেই হিসাবে বলা যায়, রক্ষণশীল বা কট্টোরপন্থী প্রার্থী সাঈদ জলিলির পক্ষে বেশি ভোট পড়তে পারে সেদিন। অর্থাৎ প্রয়াত ইব্রাহিম রাইসির উত্তরসূরী হতে পারেন রক্ষণশীল বা কট্টোরপন্থী প্রার্থী সাঈদ জলিলি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *