অভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণসভায় ব্যয় হবে ৫ কোটি!

জাতীয় রাজনীতি

যুগান্তর প্রতিবেদন

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণসভা ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠেয় এ স্মরণসভার আয়োজনে ব্যয় হবে ৫ কোটি টাকা। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সব শহিদের স্মরণে ১৪ সেপ্টেম্বর অথবা সুবিধাজনক সময়ে এক স্মরণসভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপদেষ্টা এ স্মরণসভা বাস্তবায়নের ফোকাল পয়েন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন।

উপদেষ্টা স্মরণসভা সম্পর্কিত সব কর্মকাণ্ড সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য তার পক্ষ থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে দায়িত্ব দিয়েছেন। স্মরণসভাটি যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য আনুমানিক ৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

সূত্র জানায়, সময় স্বল্পতার কারণে কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে অভিজ্ঞ ও প্রয়োজনীয় ক্ষমতাসম্পন্ন এক বা একাধিক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।

তবে সরাসরি ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালার তফশিল-২ অনুযায়ী অনুষ্ঠান আয়োজন এবং এ সংশ্লিষ্ট কার্যাদি সম্পাদনের জন্য এ বিভাগের ক্রয়ের আর্থিক ঊর্ধ্বসীমার মধ্যে তা সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণে এ বিধিমালায় বর্ণিত মূল্যসীমার মধ্যে ক্রয়ের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সুপারিশক্রমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি প্রয়োগ করে ক্রয়কার্য সম্পাদন করার জন্য বৈঠকে অনুমোদন চাওয়া হয়। উপদেষ্টা কমিটি তা অনুমোদন দিয়েছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, অনুষ্ঠানটি আয়োজনে প্রয়োজনীয় অর্থ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের রাজস্ব বাজেটে সংকুলান না হওয়ায় অতিরিক্ত অর্থ চেয়ে এরই মধ্যে অর্থ বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬-এর ৬৮ ধারায় বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে, ইত্যাদি ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয় সম্পর্কিত বিশেষ বিধান-(১) সরকার, রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে বা বিপর্যয়কর কোনো ঘটনা মোকাবিলার জন্য, জনস্বার্থে, সরকার কর্তৃক গঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশক্রমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি বা অন্য কোনো ক্রয়পদ্ধতি অনুসরণ করে ক্রয়কার্য সম্পন্ন করিতে পারবে।’

এছাড়া পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালায় বর্ণিত মূল্যসীমার ঊর্ধ্বে ক্রয়ের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশক্রমে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতি প্রয়োগ করে ক্রয়কার্য সম্পন্ন করতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *