স্টাফ রিপোর্টার
বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতরে শুক্রবার মুসল্লিদের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে
জুমার নামাজের ইমামতি করাকে কেন্দ্র করে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের হাতাহাতি, জুতা নিক্ষেপ, জানালার কাচ ভাঙচুরসহ নানা তা-বে মসজিদের ভেতর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন। ঘটনার পর পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী ছুটে আসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার পর মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমীন এবং তার বিরোধীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে দুপুর সোয়া ১টার দিকে জুমার খুতবা শুরু হয়। মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি রুহুল আমীন নামাজ পড়াতে আসেননি। পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত খতিব নামাজ পড়াচ্ছিলেন। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভারপ্রাপ্ত খতিব মিম্বরে উঠেন। এ সময় মুফতি রুহুল আমীন জুমা পড়াতে এলে একটি পক্ষ বিরোধিতা করেন। এ সময় মুফতি রুহুল আমীনের সঙ্গে থাকা বেশকিছু মাদ্রাসার ছাত্র তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা চালান। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে একে অপরকে জুতা, জুতা রাখার র্যাক ছুড়তে থাকেন। তারা মসজিদের ভেতরে ভাঙচুর চালান। দরজা-জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়। এতে মসজিদের ভেতর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্যরা ছুটে আসেন। পরে সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বিরোধিতার মুখে মুফতি রুহুল আমিন জুমার নামাজ পড়াতে পারেননি।
এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট ও পল্টন মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও সেনা মোতায়েন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিন মসজিদে আসা বন্ধ করে দেন। অন্তর্র্বতীকালীন সরকার খতিবের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। খতিবের অনুপস্থিতিতে তখন ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে ওয়ালীয়ুর রহমান খান ও মুফতি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহকে নামাজ পড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুফতি রুহুল আমীন গোপালগঞ্জের হওয়ায় আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ২০২২ সালে তিনি খতিব হিসেবে নিয়োগ পান।