প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন

অন্যান্য মফস্বল

সুবর্ণবাঙলা প্রতিনিধি

ভোলার চরফ্যাশনে শশীভূষণ থানার চরকলমি ইউনিয়নে বিয়ের দাবিতে মোসলেহ উদ্দিন নামে এক যুবকের বাড়িতে দুদিন ধরে অনশন করছেন এক সন্তানের জননী।

মোসলেহ উদ্দিন শশীভূষণ থানার চরকলমি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মঙ্গল গ্রামের আনিসুল হকের ছেলে।

ওই নারী সাংবাদিকদের জানান, পূর্বে তার বিয়ে হয়েছিল। তার ঘরে একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। সম্প্রতি স্বামীর সঙ্গে তার সংসার ভেঙে যায়। গত এক বছর ধরে তিনি বাবার বাড়িতেই সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন। সংসার ভাঙার পরেই মোসলেহ উদ্দিনের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে রং নাম্বারে পরিচয় হয়।

সেই থেকে বন্ধুত্ব, বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সূত্র ধরে যুবক মোসলেহ উদ্দিন তার সঙ্গে প্রায় সময় দেখা করতেন। এভাবে কেটে যায় প্রায় এক বছর।

গত কয়েক দিন আগে প্রেমিক মোসলেউদ্দিন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। শারীরিক সম্পর্কের পরই মোসলেহউদ্দিন বিয়ের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে দাঁড়ান। তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তালবাহানা শুরু করেন।

মোবাইল নম্বর ব্লক করে দেন। পরে তিনি নিরুপায় হয়ে বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেন। দুদিন পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শশীভূষণ থানা পুলিশ তাকে ওই বাড়ি থেকে অনশনরত অবস্থায় উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিয়ের দাবিতে ওই বাড়িতে অবস্থানের পর পরই মোসলেহউদ্দিনের পারিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে যেতে টাকা-পয়সার প্রস্তাব দেন। এতে তিনি রাজি না হলে স্থানীয় কয়েকজন তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ ছাড়া তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়ে তাদের দুজনের অন্তরঙ্গ কিছু ছবি ও ফোনালাপের রেকর্ডসহ প্রমাণাদি ডিলিট করে দেন।

স্থানীয়রা জানান, ওই নারী যুবকের বাড়িতে অবস্থানের পর পরই বিয়ে না হলে আত্মহত্যার হুমকি দেন। এতে বেসামাল নারীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে গোটা এলাকাবাসী।

ওই নারী বাড়িতে অবস্থানের পর পরই প্রেমিক যুবক বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে তার পরিবারের সদস্যরা এ বিষয়ে কিছুই জানে না বলে জানান।

শশীভূষণ থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে নারীকে উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে আনা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *