শিশু হাসপাতালে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু হচ্ছে

জাতীয় স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

সেলিম রায়হান

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট রোগীদের ভোগান্তি কমানোর পাশাপাশি চিকিৎসাপ্রাপ্তি সহজ করতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। এতে হাসপাতালের ‘সি ব্লক ও বহির্বিভাগের’ মধ্যেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা মিলবে। এবং মুমূর্ষু রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত হবে।

হাসপাতালের উপপরিচালক (হাসপাতাল) অধ্যাপক ডা. খালিদ মাহমুদ শাকিল রোববার ‘সুবর্ণবাঙলা’কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, বুধবার সহযোগী অধ্যাপক ডা. এসএম খালিদ মাহমুদ শাকিলের সভাপত্বিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু বিষয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ডিডিও (আয়-ব্যয়ন কর্মকর্তা) অধ্যাপক ডা. মাহবুবুল হক, সহকারী পরিচালক (উন্নয়ন) নেসার উদ্দিন, প্রকৌশলী খলিলুর রহমান, প্রকৌশলী (মেইনটেনেন্স) সাইদুর রহমান, সহকারী পরিচালক অর্থসহ অন্যান্য চিকিৎসক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ওয়ার্ড মাস্টার প্রমুখ।

হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা ‘সুবর্ণবাঙলা’কে বলেন, শিশু হাসপাতালে সেবা গ্রহীতাদের বেশিরভাগই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর। তারা দূরদূরান্ত থেকে মুমূর্ষু শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে আসেন। রোগীর চাপ বেশি থাকায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটে চিকিৎসক দেখাতে হয়। চিকিৎসকরা রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দিলে টাকা জমাদানের জন্য ব্যাংকের বুথেও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়। এরপর নমুনা সরবরাহ এবং রিপোর্ট সংগ্রহ ও ফের লাইনের ভোগান্তি পোহাতে হয়। হাসপাতালে আসার পর এক ভবন থেকে অন্য ভবনের ছোটাছুটি করতে গিয়ে চিকিৎসা পেতে বিলম্ব হয়। ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু হলে সি ব্লকে অবস্থিত ব্যাংকে টেস্টের টাকা জমার পর বহির্বিভাগ থেকেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট সংগ্রহ ও পাশেই চিকিৎসকের রুমে রোগী দেখানোর ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে থাকা রোগীর অভিভাবকদের জন্য অপেক্ষাগার করা হবে। এভাবে সবকিছু এক ছাদের নিচে নিয়ে আসার উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলেই রোগীরা দ্রুত সময়ে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবেন।

উপপরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. এসএম খালিদ মাহমুদ শাকিল ‘সুবর্ণবাঙলা’কে বলেন, ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করার জন্য খুব বেশি অর্থ খরচ হবে না। বহির্বিভাগে একটি শেড (ছাউনি) করেই এটা চালু করা সম্ভব। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবারের মধ্যে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকে ধারণাপত্র দিতে বলা হয়েছে। ওয়ান স্টপ সার্ভিসটি শুধু সি ব্লক ও বহির্বিভাগের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকায় রোগীদের এ ব্লকে দৌড়াতে হবে না। ইমার্জেন্সির (জরুরি বিভাগ) পাশাপাশি রুটিন সার্ভিসের মধ্যেই এই সেবা দেওয়া হবে। এতে বিশেষ করে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীদের চাপ সামলানোর পাশাপাশি ভোগান্তি কমবে। বহির্বিভাগের টিকিটেই চিকিৎসকরা এই সেবা দেবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *