ইরানের যেসব স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করছে ইসরাইল

আন্তর্জাতিক

এনবিসির প্রতিবেদন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ ও ইরানি কমান্ডার হত্যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে গত ১ অক্টোবর ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। জবাবে দেশটির সামরিক ও জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে ইসরাইল সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে মনে করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

শনিবার প্রকাশিত এনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। কারণ ইসরাইল লেবানন ও গাজায় তার সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় একটি প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে ইরান ইসরাইলের প্রতিশোধমূলক হামলার কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

ইসরাইল দাবি করেছে, গাজার ওপর ইসরাইলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় গত ১ অক্টোবর ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। গাজায় এবং লেবাননে ইসরাইলের হামলার ফলে অনেক হামাস ও হিজবুল্লাহ নেতা নিহত হন।

যদিও এনবিসি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরাইলের হামলা চালানোর বা নতুন করে কোনো ইরানিকে হত্যার কোনো ইঙ্গিত নেই। তবে ইসরাইল কবে বা কীভাবে তার প্রতিক্রিয়া জানাবে, তা এখনও চূড়ান্ত করেনি।

মার্কিন ও ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রতিশোধমূলক এই প্রতিক্রিয়া ইয়ম কিপুর ছুটির মধ্যেই আসতে পারে।

এদিকে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ধ্বংস করার জন্য অপারেশন চালিয়ে যাচ্ছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় হিজবুল্লাহর প্রায় ২০০ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে।

ইসরাইলের সামরিক বাহিনী আরও জানিয়েছে যে, তারা লেবাননের রামিয়া অঞ্চলে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের দ্বারা খনন করা একটি টানেল আবিষ্কার করেছে এবং সেখানে অস্ত্র ও রসদ পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে হিজবুল্লাহ ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটিগুলোতে রকেট এবং মিসাইল দিয়ে হামলা বাড়িয়েছে। যার ফলে বহু সংখ্যক ইসরাইলি সেনা হতাহত হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের এই যুদ্ধ পরিস্থিতি ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রকে একটি বৃহত্তর সংঘর্ষের দিকে টেনে নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্র: ডেইলি সাবাহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *